প্রভুর বাণীশিক্ষা

কোরআনের নামে দুইটি মিথ্যা বলি।

বিশ্বের সবচেয়ে সর্বাধিক পঠিত ও জনপ্রিয় গ্রন্থ হচ্ছে আল কোরআন। এটা ইসলাম ধর্মের মূল কিতাব। মুসলিমরা দাবী করেন এটা সবচেয়ে স্রেষ্ঠ কিতাব। পবিত্র এই কোরআন নিয়ে রয়েছে অনেক আশ্চর্য,অবিশ্বাস্য ইতিহাস ও বর্ণনা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এই পবিত্র কুরআনের অনেক মুখস্থকারী হাফেজ রয়েছে। প্রায়ই ছয় কোটির ও বেশি । বলা চলে কোনো গ্রন্থ নিয়ে এরকম অবিশ্বাস্য নজির নেই পৃথিবীতে। খুব অল্প বয়সে ও অল্প সময় এটা পরিপূর্ণ মুখস্থ করা সম্ভব। যা অন্য কোনো গ্রন্থের ব্যাপারে হয়না।

কিন্তু এই কোরআন নিয়ে মানুষ আবার মিথ্যেও বলে যাচ্ছে। একবার ভেবেই দেখুন কোরআন নিয়ে মিথ্যে বলা এটা কি কোনো সাধারণ ব্যাপার?  আপনি যদি বলেন না জেনে অথবা না বুঝে বলছি এতেই কি সব সমাধান হবে?  বিদ্যুৎ জেনে স্পর্শ করলে সর্ট করে আবার না জেনে করলেও সর্ট করে ঠিক তেমনি মিথ্যে জেনে করাও পাপ না জেনে করাও পাপের শামিল। হাদিসেই এসেছে যাহা শুনে তাহাই বলিতে থাকা ইহাই মিথ্যেবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তার মানে শুনলেই বলা যাবে না।  যাচাই-বাছাই করে বলতে হবে।

প্রথমে শুরু করি নাম দিয়ে। সাধারণ মুসলিমরা কোরআনের নামেই ভুল করে থাকে। যেমন বলে কোরআন শরিফ। কোরআন বলাটা ঠিক আছে কিন্তু সাথে শরিফ বলাটা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়। শরিফ নামটি কোরআন, হাদিস, ও সাহাবায়ে কেরাম ধারা প্রমাণিত নয়। তাই কোরআনের সাথে শরিফ বলাটা বেশি বারাবাড়ি হয়ে যায়। এখন কেউ যদি বলে সমস্যা কি?  কোরআনের সম্মানের জন্য বলা হয়েছে। আর অর্থও তো ঠিক আছে। তাহলে তাকে আমি বলবো মাগরিবের ফরজ সালাত তিন রাকাত পরিবর্তন করে চার রাকাআত পড়বো। সমস্যা কি অসুবিধা নেই নামাজ পড়লেইতো নেকি। তিন রাকাআত পড়ে যদি তিনশত পাই চার রাকাআত পড়লে চারশো পাবো কোনো সমস্যা নেইতো। কিন্তু সে একমত হবে না। বলবে যেটা প্রভু নির্ধারিত করছে সেটাই।  এর কমবেশি করা যাবে না। তাহলে কোরআনের ক্ষেত্রেও প্রভু যে নাম নির্ধারণ করছে সে নামেই ডাকতে হবে অন্য কোনো নামে নয়। পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে বিশুদ্ধ নাম হলো চারটি সেগুলো হলো- ১. আল-কোরআন, ২. আল-ফোরকান, ৩. আজ-জিকর ও ৪. আত-তানজিল।

দ্বিতীয় হলো কোরআনের আয়াত সংখ্যা নিয়ে মোটা মিথ্যে কতা প্রচলিত রয়েছে আর সেটা হলো ৬৬৬৬টি আয়াত ।  কিন্তু বিসমিল্লাহ ছাড়া হিসাব করলে আমরা পাই ৬২৩৬টি আর বিসমিল্লাহ যোগ করলে আরো বেশি হবে। আপনি নিযে গুনেও দেখতে পারুন।  তবুও আমাদের মিথ্যে পরিহার করা উচিত।

 

তোমরাও লিখতে পারো ধর্ম নিয়ে। তোমাদের লেখা পাঠাও এই ঠিকানায়। moktokton@gmail.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button