ধারাবাহিক গল্প

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ৪

মিমি মুসকান

মাঝরাতে কারো গরম নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে পরায় জেগে ওঠলাম আমি। অনুভূতি হচ্ছে আমি বিছানায়, আর আমার ঘাড়ে কারো মাথা। শুধু তাই নয় পেটে’র ওপর কারো হাতও আছে। চিৎকার করতে যাবো বোধ হলো রুমের লাইট অফ। কিন্তু আমি তো জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। তার মানে এটা আহিয়ান’র‌ কাজ। কি করবো আমি এখন? ওর প্রতিটা নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে পরছে। কেমন জানি অনুভূতি এটা! অস্বাভাবিক লাগছে আমার। উনার এতোটা কাছে আমি আগে কখনো আসিনি।
নাহ এভাবে আর থাকা যায় না। অন্য হাত দিয়ে টেবিলে থাকা ল্যাম্ব টা জ্বালালাম। ল্যাম্ব এর আলোতে উনার মুখ দেখা যাচ্ছে। আমার ঘাড়ের কাছে মুখ গুঁজে আছে। উনার হাত আমার পেট থেকে সরালাম। এখন একটু স্বাভাবিক লাগছে। চুপচাপ খাট থেকে নামতে যাবো কিছু’র সাথে যেন টান খেলাম। তাকিয়ে দেখি আমার ওড়না ওনার হাতে পেঁচানো। আমি আস্তে আস্তে সেটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলাম।

– “আহিয়ান : কি করছো তুমি ( আমার দিকে তাকিয়ে )
আচমকা উনার গলা পেয়ে লাফিয়ে উঠলাম। আহিয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছি। সে আবারও আমাকে বলল…

– কি করছো তুমি?
– আ…আমি আ..আস..আসলে
– তোতলাচ্ছো কেন? ( ভ্রু কুঁচকে )
– না মানে..
– পালিয়ে যাচ্ছো নাকি?

উনার কথায় আমি চরম অবাক হলাম? আমি কিছু বলার বদলে উনার মুখে হা হয়ে তাকিয়ে আছি।
কি হলো চুপ হয়ে গেলে কেন? ( উঠে বসলেন )
আপনি এইসব কি বলছেন? পালাতে যাবো কেন?
তাহলে এটা খুলছিলে কেন? ( হাত দেখিয়ে )
আমার ওড়না আপনি পেঁচিয়ে রেখেছেন কেন?
আমি কি জিঙ্গেস করলাম আগে সেটা বলো! কেন খুলছিলে?
আমি তো এখানে ঘুমায় নি আপনি আমাকে এখানে কেন আনলেন?
তোমাকে কে বললো আমি এনেছি?
মানে ( ভ্রু কুঁচকে )
তার মানে তুমি জেগে ছিলে?
জেগে থাকার কি হলো? আমি তো মেঝেতে শুয়ে ছিলাম। এখানে আসলাম কি করে? আর এখানে আপনি ছাড়া আর কে আছে যে আমাকে আনবে?
ওহ্ আচ্ছা তাহলে তোমার মনে আছে!

থাকবে না কেন?
আচ্ছা আমি কি বলেছিলাম তোমাকে? ( ভ্রু নাচিয়ে)
কি বলেছেন? ( উনার দিকে তাকিয়ে )
বলেছিলাম নাহ বিছানা আছে, সোফা আছে, গেস্ট রুম আছে যেখানে মন চায় ঘুমিয়ে পরো। ৩ টা ওপশেন দিয়েছিলাম তো তাহলে…

তাহলে..

তুমি মেঝে তে শুতে গেলে কেন? আমি বলেছিলাম মেঝেতে গিয়ে ঘুমাও। ( রেগে ধমক দিয়ে বললেন )
উনার ধমকে লাফিয়ে উঠলাম। তাড়াতাড়ি করে বলতে লাগলাম…
আসলে সোফায় আমি ঘুমাতে পারি না আর সার্ভেন্ট দেখলে কি ভাববে না ভাববে তাই আমি গেস্ট রুমে যায় নি।
বিছানা কি দোষ করেছিলো?
আপনি!
আমি মানে?
আপনার সাথে আমি এক বিছানায় ঘুমাতে পারবো না।
আমার কথা শুনে খানিকক্ষণ এর জন্য চুপ হয়ে গেলেন তিনি। তারপর হুট করেই পাশে থাকা কোলবালিশ মাঝখানে রেখে বলল…
ঠিক আছে, কালকে আরেকটা বেড’র ব্যবস্থা করে নেবো। তুমি আজকের মতো এখানে ঘুমিয়ে পরো।
বলেই ওপাশ হয়ে ঘুমিয়ে পরলেন। ওনার হাতে ওড়না বাঁধা থাকায় আমি গিয়ে বিছানায় পরলাম। উনি আমার দিকে ফিরে বললেন…

তোমার জ্বালায় ৩ দিন ধরে ঘুমাতে পারি নি । ঘুমিয়ে পরো তো। ( ঠান্ডা গলায় বললেন )

আমার জ্বালায় মানে..আমি উনাকে কবে জ্বালালাম,‌যার কারনে উনি ৩ দিন ঘুমাতে পারি নি। জিজ্ঞেস করতে গিয়ে ও করলাম না। এতোদিন ঘুমান নি এখন একটু ঘুমাক। তবুও একটা কথা না বলে পারলাম না।‌তাই আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম…
ওড়না টা এবার খুলুন।
নাহ এটা আমার হাতে বাধা থাক।
বলেই বালিশে মাথা গুঁজে নিলেন তিনি। আমিও বাধ্য মেয়ের মতো শুয়ে পরলাম। খাটের এপাশে আমি আর ওপাশে তিনি। মাঝখানে কোলবালিশ। আচ্ছা এই কোলবালিশ’টা আগে রাখলে কি হতো! তাহলে আর এতো কথা বলা লাগতো না।

হঠাৎ উনি বলে উঠলেন…
নিহা কোলবালিশ টা ঘুমের চোখে সরিয়ে ফেলেছিলাম। সরি বুঝতে পারি নি। ঘুমের মধ্যে তোমাকে ছুঁয়ে থাকলে সরি।
আবারও বালিশে মুখ গুঁজে নিলেন তিনি।
আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারন এই প্রথম আহিয়ান আমাকে নাম ধরে ডাকলো। হ্যাঁ আমি ঠিক শুনেছি উনি আমাকে নাম ধরে ডেকেছে। এই পর্যন্ত উনি আমাকে শুধু এই মেয়ে এই মেয়ে বলেই ডেকেছেন। তার চেয়ে বড় কথা উনি আমাকে সরি বললেন। আমার চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেল। ১ দিনে এতো দূর।

সেদিন রাস্তায় কতোই না ঝগড়া করেছিলাম আমাকে এই মেয়ে বলে ডাকায়।‌ যেখানে সেখানে আমাকে এই মেয়ে বলো ডাকতো উনি। শুধু কি তাই উনার বন্ধুরা তো আমাকে দেখলেই হাসাহাসি করতো। আচ্ছা এখন কি হবে? এখন তো আমি উনার বউ এখনও কি আমাকে দেখলেই এরকম হাসাহাসি করবে। ভাবতে লাগলাম আমি।
ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পরলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতে পারলাম না। ঘুম ভাঙ্গল আয়ানা’র ডাকে। আমি ঘুয ঘুম চোখে আয়ানা’র মুখ থেকে লাফ দিয়ে ওঠলাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চোখ কপালে। কারন প্রায় ৮ টা বাজতে চলল। আমি তো নিয়মিত ৫ টার আগে ঘুম থেকে উঠি না আর আজ ৮ টা। কি ভাববে এখন ওরা। মা কি বলবে? আয়ানা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল…

কি হলো?
সরি আসলে খুব লেট হয়ে গেছে।
আরে পাগল মেয়ে এতে ভয় পাওয়ার কি আছে? লেট হতেই পারে?
মা কি ভাববে বলো?
কিছু ভাববে না, আমি আরো আগেই আসতাম। মা বললো কাল রাতে অনেক লেট করে ঘুমিয়েছো তুমি, তাই আরেকটু পরে ডাকি তোমাকে।
আয়ানা’র কথায় আমার ভয় কিছুটা হলেও কমলো। পাশে হাত দিয়ে দেখি উনি নেই।আমি আয়ানা’র দিকে তাকালাম। আয়ানা মুচকি হেসে বলল…
ভাই নিচে আছে,‌খানিকক্ষন আগেই জগিং করে ফিরেছে। তুমি বরং ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি তোমার জন্য এটা এনেছি। ( প্যাকেট হাতে দিয়ে )
কি এটা ? ( প্যাকেট টা নিয়ে )

শাড়ি আছে এতে, এটা পরে নাও। ঘরের বউ কে শাড়ি’তেই মানায়, আমার মা বলেন। এছাড়া তোমাকে কেউ জোর করবে না। কিন্তু আজ মা’র কিছু বান্ধবী আসবে। ছেলে’র বউ কে দেখাবে বলে সকালে সবাইকে ফোন করেছে।‌তাদের সামনে তো আর শাড়ি ছাড়া যাওয়া যাবে না। তাই…
– ঠিক আছে আমি পরে নেবো।
– পারবে পরতে?
– হ্যাঁ পারি আমি।
– ঠিক আছে হেল্প লাগলে বলো আমি সার্ভেন্ট কে পাঠিয়ে দেবো। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো।

ঠিক আছে।‌

আয়ানা চলে গেলো। আমি প্যাকেট থেকে শাড়ি’টা বের করলাম। দেখতে বেশ, লাল রঙের একটা শাড়ি তবে কি কাপর বুঝতে পারছি না। তবে কারুকাজ টা চমৎকার। গোল্ডেন রঙের স্টোন বসানো তাতে। আমি আর না ভেবে উঠে পরলাম। শাওয়ার নিয়ে এসে রুমে আসলাম। উনি এখনো আসেনি। আমি দরজা লক করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পরতে লাগলাম।
পোশাক মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে কথাটা আসলে সত্যি। আমি সুন্দর না হলে কি হবে শাড়ি’টার জন্য সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আয়না’তে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছি।‌এরকম শাড়ি’র পরার ভাগ্য কখনো হবে ভাবতে পারি নি। শাড়ি’র দাম অনেক দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলাম। মাঝ বরাবর একটা সিঁথি করলাম। এখানে তো আর কিছু নেই যে সাজবো আর এমনে তেও সাজতে আমার ভালো লাগে না। মা’র কথা খুব মনে পরছে। শেষ বার বাবা কে একটা শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করেছিলাম। বাবা নাকি শাড়ি এনেছিলো তার লাশের পাশে রক্তাক্ত একটা প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিলো। বিছানায় ধপাশ করে বসে কেঁদে ওঠলাম। খুব কষ্ট হচ্ছিল।‌ দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।
হুট করেই দরজা নক করার চেষ্টা আওয়াজ পেলাম। মনে হয় আহিয়ান এসেছে। চোখের পানি মুছে নিলাম। আয়ানায় দাঁড়িয়ে আবার ও নিজেকে দেখে নিলাম। তারপর গিয়ে দরজা খুললাম। হ্যাঁ আহিয়ান এসেছে। সে আমার দিকে না তাকিয়ে রুমের মধ্যে ঢুকে গেল। আমি উনার পিছনে দাঁড়ানো। উনি হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বলল..

মা ডাকছে তোমায়! ( ডেসিন টেবিলে এ ঘড়ি টা রেখে আয়ানায় আমার দিকে তাকিয়ে )
আচ্ছা আমি যাচ্ছি। ( যেতে লাগলাম )
এই দাঁড়াও! ( আমার দিকে ফিরে )
হুম ( আহিয়ান এর দিকে ফিরলাম )
দেখি উনি আমার দিকে আগাচ্ছে। আমি তাকিয়ে আছি উনার দিকে। উনি আমার কাছে এসে বললেন…

কাঁদছিলে তুমি!

উনার কথায় ধতমত খেয়ে গেলাম। উনি কিভাবে বুঝলেন আমি কাঁদছিলাম। তাও আমি মাথা নাড়িয়ে না করলাম।
মিথ্যে বলছো কেন?
না আমি সত্যি কাঁদিনি।
তাহলে চোখ ফুলে আছে কেন তোমার!
সেটা আপনার কারনে? ( কোমরে হাত দিয়ে )

মানে?

আপনি আমাকে কেন ডাকলেন না বলুন তো। বেশি ঘুমিয়ে ফেললাম আমি তাই চোখ এখন গোল আলু’র মতো ফুলে গেছে।
সত্যি বলছো! ( সন্দেহ’র চোখে তাকিয়ে )
মিথ্যে বলতে যাবো কেন? তাও আপনাকে! গেলাম আমি।
আহিয়ান কে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে গেলাম। কি ছেলেরে বাবা এতো খেয়াল করে কিভাবে। যেভাবে বলল আমায় যেন কতো দিন ধরে চিনে আমাকে। উনার সাথে থাকবো কি করে।আল্লাহ বাঁচাও আমাকে।

বির বির করতে করতে সিঁড়ি থেকে নামলাম। মা, বাবা, আয়ানা সবাই খাবার টেবিলে। হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমাকে সিড়ি থেকে নামতে দেখে মা আর আয়ানা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। বাবা ও আড়চোখে তাকালেন। আমি সবাইকে দেখে “সুপ্রভাত” বললাম। মা আর আয়ানাও বলল “গুড মর্নিং”। কিন্তু বাবা কিছু বলল না। আমি ইচ্ছে করে বাবা’র কাছে গিয়ে বললাম “সুপ্রভাত বাবা”।
বাবা আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর হয়ে বললেন…

সুপ্রভাত!

আমি উনাকে বললাম..
আচ্ছা বাবা আপনি হাসেন না।
আমার কথায় আয়ানা আর মা অবাক হলেন। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন..
কি বললে?
না কিছু না আচ্ছা আমি খাবার সার্ভ করে দেই?
বাবা চুপ হয়ে গেলেন। কিছু বললেন না, আমি মার দিকে তাকালাম উনি আমাকে চোখের ইশারায় হ্যাঁ বললেন। আমি মুচকি হেসে বাবা কে খাবার দিলাম। উনি কিছু বললেন না। মা আর আয়ানা এইসব দেখে মুখ টিপে হাসছে।
আমি সবাইকে খাবার দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আয়ানা আমাকে দেখে বলল…
নিহা বসো!

বসবো আপু তুমি খেতে শুরু করো।
আয়ানা বুঝতে পারল আমি আহিয়ান এর জন্য দাঁড়িয়ে আছি। তাই সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে বলল…
আচ্ছা।
আমি দাঁড়িয়ে আছি, বাবা আর আয়ানা অফিসের নানান কথা বলছে। আয়ানা বাবা’র সাথে অফিসের কাজে সাহায্য করেন। আপ্পি তো আহিয়ান এর বড়ো। একটু খারাপ লাগলো কারন বড়ো বোনের বিয়ে না হয়েই ছোট ভাই বিয়ে করে ফেলল। কিন্তু আজব ব্যাপার হলো এটা নিয়ে কেউ কিছু বললো না। কতোটা বোঝতে পারে তারা একজন আরেকজন কে।
খানিকক্ষণ বাদেই আহিয়ান আসল। একটা নীল টি শার্ট আর জিন্স পরা। উনি এসে ‌চেয়ারে বসলেন। আয়ানা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল…

বসো এবার।

আমি প্রথমে আহিয়ান কে খাবার বেড়ে দিলাম। তারপর এসে আপু’র পাশে বসে পরলাম। আহিয়ান এর চেয়ার থেকে কিছুটা দূরে। সবাই একসাথে খাবার খাচ্ছে ‌ ভালো লাগছে দেখে। আজ এরকম একটা পরিবার আমারও থাকতো।
বাবা খেতে খেতে আহিয়ান কে বলল…
রিসেপশনে’র অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দিতে বলেছি আমি। কিছুক্ষণ’র মধ্যেই তারা এসে পরবে।
আহিয়ান খাবার রেখে বাবা’র দিকে তাকিয়ে বলল..
না বাবা রিসেপশনে’র অনুষ্ঠান হবে না।

কেন?

আমি চাইছি না এইসব তাই!
তুমি বিয়ে টা করলে এভাবে, তাই বলে কি রিসেপশনে’র অনুষ্ঠান টা করবে না। ( একটু রেগে গিয়ে)
আমার খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। সবাই তাকিয়ে উনাদের কথা বার্তা শুনতে লাগলাম।
বাবা আমি বলছি না হবে না কিন্তু এখন না। কিছুদিন পর হোক।

কিন্তু…

আপু বলে ওঠল…
বাবা ও যখন চাইছে না জোর করো না।‌ ওটা ওতো ইম্পর্ট্যান্ট কিছু না।
আয়ানা তুমিও…
আপু চোখ দিয়ে বাবা কে ইশারা করলেন। বাবা আর কিছু বললেন না। আমার একটু অবাক লাগল। কেন জানি মনে হলো এই বিয়েটা উনি লুকাতে চাইছেন।
রুমে বসে ‌ঘর টা দেখতে লাগলাম। পুরো ঘরটা এখনো দেখি নি আমি।‌ আমি হাঁটতে হাঁটতে বেলকনিতে গিয়ে পৌঁছালাম। বেলকনিতে একটা ছোট ফুলের বাগান। জুঁই, অপরাজিত,বেলি, রজনীগন্ধা আর তুষারমোতি ফুল আছে এখানে। অবাক লাগল ছেলে হয়েও এরকম একটা বাগান করেছেন তিনি। একটা দোলনা আছে, এছাড়া দুটো বিন ব্যাগও আছে। কিন্তু এখানে কিছু বোতল আছে। কিসের এগুলো, কোথাও দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। আমি বোতল হাতে নিয়ে গন্ধ শুকতে লাগলাম। ছিঃ কি বিচ্ছিরি গন্ধ। গন্ধে আমার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল। পরে যেতে লাগলাম তখন কেউ এসে মনে হলো আমাকে ধরল। তাকিয়ে দেখি আহিয়ান আমার দু’বাহু ধরে আছে। আমি তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে দাঁড়ালাম।

আহিয়ান আমার হাত থেকে বোতল নিয়ে বলল… কি করছিলে তুমি?
এটা মদের বোতল নাহ? ছিঃ কি বিচ্ছিরি গন্ধ এটা আপনি এইসব খান কিভাবে?

পর্ব সমাপ্ত।

 

ভালোবাসার_ফোড়ন পর্ব, ৫

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button