Game পর্ব ৮ : মিমি মুসকান
তখন কেউ কেউ এসে দা বলে চেঁচিয়েছিল। এর মধ্যেও মাথা মুছতে বের হয়ে এলো! আমি আর গান! আমার দিকে দিকে দিকে বড় বড় করে থাকেন। তখন থেকে দা বলে কেউ ডাকছে। গেমে চেপে আমার বাহু টেনেশ রুমে গেট ইন্সটল দিয়ে আমাকে চেপে ধরলেন। আমি পুরোই অবাক তার সাথে ভয় ও পেলাম। আমাকে ফিসফিসিয়ে…
– চুপ চুপ একটা কথাও বলে না বুঝলে!
আমি সাহস হয়ে আছি। মনে মনে মনে,
– মুখ তো চেপে ধরে আছেন তাহলে কথা বলবেন?
মনে মনে যে ডাকে সে মনে মনে দাঁড়িয়েছে। তখন নিজেকে শান্ত করে বলেছে…
– আদুরী আমি শাওয়ার নিতে!
আদুরী বলে।
– ওহ আচ্ছা! ঠিক আছে আমি জানি।
– হুম!
অতঃপর আদুরী যেবার শব্দ পেলাম। আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর আমার দিকে। লাল রঙের একটি শার্ট তার ফর্সা টিটি বেশ মানিয়েছে। উনার চুলের পানিগুলো টিপ করে আমার কপালে পড়ার সাথে আমার হুশ ফিরল। আমি দেখছি নামিয়ে নিলাম। চিন্তাধারা ও ছেড়ে ছেড়ে আমাকে আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে বললেন
. তাই.. তুমি জানো নাও? কিছু একটা লিখা লিখা লিখাটা আমার কাছে থাকবে। সরি চাহিদা জন্য!
অভ্র’র কথায় আনহা মাথা নাড়ল। অপর অভ্র সামনের ঘোরা বন্ধের পথে। আনহা পরবর্তী একক অবস্থানে আছে। অভ্র এবার আনহার সামনে দাঁড়িয়ে বলল ..
– কিন্তু তুমি এখানে আমার ঘরে কি করছো?
– সত্যি কথা বলতে, আপনি এমনভাবে কথা বলতেন আমি ফোনও করে আপনাকে কথা বলতে হবে না। খুব চিন্তাই তাই দেখতে এলাম আর তখন.
দর্শক আমার দিকে কিঞ্চিত হেসে বললেন..
– কিছু ভাবার জন্য ধন্যবাদ তবে কিছু হয় নি আদুরী কে খুঁজে বের করা না তাই!
– মেহেরিন ভারা খান!
– হুম আমার ছোট বোন!
– ওহ আচ্ছা! কিন্তু ও আমাকে নিয়ে কি? আমাকে কেনতো বিদ্যুৎ!
আমার সামনের দিকে দীর্ঘ একটি
বোন। এখনো মানুষ পিঞ্চ মারে মিডিয়া এটা নিয়ে।
– আমি তোকে আশার জন্য সরি বলেছি আপনি আমাকে নিয়ে কথা বলছেন।
– আচ্ছা সরি! তুমি গাড়ি থেকে গাড়িতে গিয়ে বসো আমি আর না কেউ যাতে না কোন সমস্যা তোমায় বুঝলে!
– ভালো কথা!
অতঃপর আনহা স্থাপন করা গেল আর খুব সাবধানে যাতে কেউ না হয়। এখনো একজনের নজরে পড়ে। মাঝে অভ্র বের হয়ে বের হওয়া আনহা সোফায় আছে আর তার সাথে মেহেরিন। অভ্র বিড় বিড় করতে বলতে শুনতে.
– যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়!
মেহেরিন বলে..
– দা! দেখো তোমার পিএ তোমাকে নিতে।
অভ্র মনে মনে..
– আমার বাবা আমার ঘর থেকে বেরুতে দেখানি!
হুম তা আনহা কখন এলে?
– এই বাংলাদেশ!
– আচ্ছা চলো লেট আমরা!
মেহেরিন
বলে।
নিশি বলে উঠে ..
– এই মিষ্টি আপু কে?
– এই যে আনহা আপু, দেখো না দেখতে কি খবর। লাইক রসগোল্লা রসগোল্লা!
নিশি বলে উঠে ..
– হুম তা ঠিক বলেছিস!
অভ্র বলে , – তা না মেহেরিন ওকে যেতে হবে, আমার পিএ ও
আনহা বলে বলে,
– হুম আদুরী আজ থাক অন্যদিন গল্প তোমার সাথে!
মেহেরিন বলে…
– যাবে!
– অফিসে আজ অনেক কাজ আছে আমি অফ ডেতে ফেসবুকে অবশ্যই আসবো।
– কথা দিচ্ছো।
– হুম!
– আচ্ছা ঠিক আছে। দা যাও তাহলে…
অভ্র মুচকি হেসে মেহেরিন এর কপালে চুমু বার্তা যাবার জন্য রওনা হয়। মাঝে নিশি আর মেহেরিন হাসতে থাকে। তখন নীল সেখানে আসে। ওদের মধ্যে হাসতে সুবিধা বলে..
– কি হয়েছে?
– আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বল তো?
– কিহ?
– আমাদের এখন একজন ভাবী’র প্রয়োজন তো নাহ!
নীল খানিকক্ষণ মেহেরিন এর কথার চেষ্টা করে। অতঃপর বলে উঠে ..
– তুই দেখেছিস তাকে?
নিশি
বলে।
-বাহ নামটা তো দারুন। তবে আপনার দা কি বিয়ে করবে?
– দা করবে না তার ঘাড়ও করবে তবে আমাদের প্ল্যানিং করতে হবে!
নীল হেসে বলে..
– আমি আছি তোর সাথে!
নিশি বলে..
– আমিও!
আকাশ করে পেছন থেকে কাব্য বলে।
– আমিও আছি!
-ওই!
– সব জানিয়েছি!
মেহেরিন বলে.
– তাহলে আমাদের ৪ মিশন আজ শুরু!
ঠিক আছে!
সবাই একসাথে ..
– ঠিক আছে!
.
অভ্র অভ্র আর আনহা অফিসে এসে বার্তায়! অভ্র গাড়ি থেকে দেওয়া যায় কিন্তু আনহাতে নামতে পারে না। তাকে দিয়ে গাড়ির খুললাই যাচ্ছে না অতপর অভ্র তার আগমনে তাকে আসতে বলেছে। আনহা সীমান্ত থাকে অভ্র’র দিকে। তার কাছে অভ্রকে এখন ভালো লাগতে শুরু করেছে। অভ্র তাকে দাঁড় করিয়ে বলে..
– কিভাবে হাটোঁ তুমি! শুধু বার বার পড়ো।
– সরি!
– হয়েছে চলো এখন লেট আমরা।
– জ্বালানি!
অঃ পরে একজনকে গিয়ে মিটিটি অ্যাটেন্ড করে। আজ যে কোম্পানির সাথে অভ্র’র মিটিং তাদের ওনার একজন মেয়ে ছিল! যখন অভ্র আরহা তাদের সাথে যখন তখন মেয়েটা অভ্র কেড়ে নিয়ে আসে। আনহা হ্যান্ডিং কর্পোরেশন আছে, কিন্তু অভ্র তাকে জরিয়ে ধরে না হচেক ব্যাপারটা শেষ করে দেয়। আনহা বোকাট আটখানা তবে সেই কথাটার কারণ তার জানা না মিটিং উত্তর মেয়েটা তাকে ডিনার জন্য ইনভাইট করে। আনহা মনে মনে মেয়েটার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে…
– আপনাকে আমিও কিছু করতে চাই না আর মেয়েটা সরাসরি সরাসরি কে ডিনার করার জন্য ইনভাইট করছে। নিশ্চয়ই কোন ঘপালা আছে। মেয়েটার নিশ্চিত কোনো প্ল্যান। এখন কি হবে? যদি এখনও রাজি হয়ে যায়, তখন! ভাবতে ভাবতে আমার জ্বর আসছে। ইশা থাকে না বলে দেয়। তাহলে নিশ্চিত করুন অ্যাটাক!
আনহা আগ্রহ ভরা সমীহ থাকে অভ্র’র দিকে। অভ্র মদু হেসে তাকে ধন্যবাদ। আনহা মুখটা সাথে মলীন হয়। কিন্তু পরক্ষনেই অভ্র বলে…
– কিন্তু আমি আসতে পারবো না।
কথাটা বলার মাত্র’ই আনহা’র এক গাল হাসি দেখা যায়। অভ্র আনহা’র দিকে আমাদের বলে..
– চলো এখন!
আনহা নারীতে মাথা ঘাঁয়ে অভ্র’র পিছনে যেতে হয় আর বারবার মেয়ের দিকে মুখ ভেংচি দেয়।
.
কয়েকদিন পর…
আনহা এখন উত্তমতো অভ্র’ প্রেমে পাগল হয়ে গেছে। তার পছন্দের মেয়ে, কোনো মেয়ে তার সাথে সহ্য করতে পারে না। অভ্র এখন শুধু তার। কিন্তু… আনহা কি শুধু অভ্র’র মধ্যে আনহা কি অভ্রকে রং না করলে ভালোবাসে.. এটা ভাবছি আনহা’র মুখ মলিন হয়ে যাচ্ছে অনেক দুঃখও পায়। আজ অফ ডে অফিস বন্ধ! দেখতে না পাওয়া অভ্রকে তাই আনটা খারাপ হয়ে যায়। পরক্ষনে মনে পড়ে মেহেরিন এর কথা। তাকে অনেকবার বলেছে অফ ডে তে আসতে! আজ তাহলে সেখানেই ব্যবহার করা! পরিস্থিতির নাম ড্রেস বের করে দেখে কোনটা পড়া যাবে। অঃঃ পর পর পড়ে পড়ে এভাবে সেজে জড়ালো!
এদিকে।
ইহান, রোদ্দুর আর কাব্য একদেলে আর নিহা, নিশি, মেহেন। মানুষের মনের ভিডিও গেম খেলতে। গেম যে জিতবে সে যা বিপরীত দলকে তাই করতে হবে। একপর্যায়ে ইহান রাজিতে যায় গেমে! নিহা মুখ ভেংচি বলে..
– কি করতে হবে?
রোদ্দুর বলে উঠে ..
– তোরা কেউ কিছু করবি না যা করার জান করবে !
মেহেরিন বলে..
– হোয়াট!
কাব্য বলে।
– অনেক কষ্টকর একটা কাজ। মনে হচ্ছে!
– ওহ আচ্ছা তাহলে তোকে করতে হবে।
ইহান বলে পড়ে।
– জান শাড়ি আয়! সংবাদ তোর ডেয়ার!
বিশ্ব চুপ। কারনাহুর মালিক মেহেরিন কখনো শাড়ি পড়ে মালিক না
।
নিহা আর নিশি ভয়াড়ী হয়ে উঠতে পারেনি। তার মধ্যেও যেমন মেয়ে শাড়ি আর পড়ে থাকবে কি! নিহা শাড়ি পড়তে পারে না আর পড়েও নিশি ও সেম!
খানিকক্ষণ বাদে রোদ্দুর’র কাছে একটা শাড়ি ছুড়ে দিয়ে মেহেরিন বলে..
– নে পড়ে দে!
ইহান, রোদ্দুর আর কাব্য মেহেরিনের দিকে মুসলিম একটা লাল রঙের ব্লাউজ আর লং স্কার্ট পরা। তবে পেট দেখা যাচ্ছে না। নিহা আর নিশি চেষ্টা করে মেহের এর কি ঘুরছে। রোদ্দুর
বলে।
– শাড়ি পড়িয়া দিবি মনে পড়িয়া দিবি। আমি কি শাড়ি আমি আর না তোরা বলেছি নিজে শাড়ি। আমি পড়েছি আর আমি পড়েছি!
নিহা আর নিশি জোরে জোরে হাসতে থাকে। নিহা বলে
। আরো দে দেয়ার!
নিশি বলে…
– যেমন কর্ম ফল ফল!
ইহান বলে
।
মেহেরিন বলে।
– তাহলে আমার ডেয়ার বাদ দেব। হারে নে!
কাব্য বলে উঠে ..
– কাবিহ নেহি! রোদ্দুর, ইউটিউবে শাড়ি পড়ায় সার্চ দেব জলদি!
কাব্যের কথা যেমন রোদ্দুর ভিডিও নাম। অতঃপর তিন জন জন শাড়ি পড়া শুরু করুন। তবে কিছু হয় না। ইহান শাড়ি ঘুরতে থাকলে মেহেরিন ও তার সাথে সম্পর্ক। মধ্যবর্তী উদযাপন ওদিক দিয়ে পাওয়া যায়। নাজেহাল অবস্থা। প্রায় এক ঘন্টা খাটাখাটুনি’র পরও কিছু’ই না হয়। ওদিকে আর নিশি হাসতে নিহাতে সমস্যা!
শেষ হার ৩ জনেই পড়ে পড়ে। মেহেন হেসে বলে..
– শেষ হার মালি!
– কে হার মানল আদুরী!
মেহের মুসলিম অভ্র আর নীল। অঃপর নিহা সব বলে। সব খুলে নীল হাসতে শেষ। অভ্র মুচকি হেসে মেহেরিন এর শাড়ির আঁচলটা ধরে। অতঃ পর বল.
– মিউ শাড়ি! এটা!
মেহেন মাথা নাড়ায়। অঃপর অভ্র এর নীল নীলত মেহেরিন কে শাড়ি পড়া। মেহেরিন এইও অভ্র’র সাথে মিলন অতঃপর অভ্র নীল কে বলে মেহেরিন কে ধরে। দেখতে কিছুক্ষণ এর মধ্যেই শাড়ি পড়ানো শেষ হয়ে যায়। নিহা, নিশি ইহান ওরা মানুষের নীল আছে মেহেরিন এর দিকে। দেখতে পুরোই অধরার মতো অভ্র মেহেরিন এর হাতের কাছে বলে…
– পুরোই অধরার খান!
এরগতি এসে উপস্থিত হয় আনহা। আনহা সীমান্ত থাকে মেহেরিন’র দিকে। অতঃপর মেহেরিন’র কাছে এসে বলে..
– মাসাআল্লাহ! খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ তোমায় আদুরী!
– ধন্যবাদ তবে শাড়িটা দা পড়বেন।
– চ্যানেল শাড়ি পড়তেও পারেন!
– হ্যাঁ আপনি যদি পড়ে পড়ে ধৈর্য্য আমার নেই! উফফ হয়রান আমার।
অভ্র বলে উঠে ..
– আচ্ছা যাও চেঞ্জ করে এসো আর আনহা আজ তুমি এখানে …
মেহেরিন
আসতে বলে। খবর ভা।
বলে মেহেরিন দ্রুত যায়। মধ্যবর্তী আনহা’র কোনো দিকে লক্ষ্য নেই। তার মনে শুধু অভ্র’র দিকে মনে হয়
।
বলে মুচকি মুচকি হাসতে দল!
পর্ব সমাপ্ত