ধারাবাহিক গল্প

দুষ্টু বরের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ২

✑ কলমে সিয়াম আহমেদ

 

হাসি:: আপনার খাবার প্রস্তুত খেয়ে নিন, ভালো থাকবেন আমি যাই।
হাসিব:: যাই মানে,এর খাবার বেড়ে দিলে কি হয় নাকি খাইয়ে দেবে কে?
হাসি:: কিই, নিজে নিজেই খান আমি খাইয়ে দিতে পারবো না।
হাসিব:: সত্যিই পারবা নাতো!
হাসি:: হুম!
হাসিব:: ওকে তাহলে তুমি যেহেতু কিস খেতে চাচ্ছো তাহলে তো আমাকে দিতেই হবে।
হাসিব চেয়ার থেকে উঠে হাসির দিকে একপা দুইপা করতে করতে এগিয়ে আসে,
হাসি:: না মানে আমি কখন বললাম কিস খাবো
হাসিব:: আমি তো বলছি আমার কথা না শুনলে আমি তোমাকে কিস খাবো।
হাসি:: না না দিতে হবে না আমি এক্ষুনি আপনাকে খাইয়ে দিচ্ছি।
হাসিব:: এই তো লক্ষী বউ আমার!
হাসি এক লোকমা এক লোকমা করে খাবার হাসিবের মুখে তুলে দিচ্ছে।
আর মনে মনে হাসিবকে গালি দিচ্ছে (শয়তান কুত্তা রাগী লোক একা নিজের হাতে খেতে পারেনা আসছে আমাকে খাইয়ে দিতে হবে, ওয়েট তোর হাত আমি ভেঙে ফেলবো শুধু শুধু আমাকে খালি ভয় দেখায়)
এদিকে হাসিব খুব আরাম করে হাসির হাতের খাবার খাচ্ছে আর হাসির হাতে ছোট্ট ছোট্ট করে কামড় দিচ্ছে।
হাসি:: এভাবে কামোর দিচ্ছেন কেন রাক্ষস নাকি আপনি?
 হাসিব:: কি করবো বলো তোমার হাত এত মিষ্টি যে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
 হাসি:: আর খাবার দিব না এভাবে কামড় দিলে।
এভাবে খাবার শেষ করে হাসি চলে যেতে লাগছিল ঠিক তখনই হাসিব পিছন থেকে ডাক দিল।
হাসিব:: এইযে ম্যাম আমি কি চলে যেতে বলছি নাকি.? কাছে আসো
হাসি:: এই যে আপনি কিন্তু বলেছেন আপনার কথা শুনলে কিস করবেন না।
হাসিব:: আমি কি বলেছি নাকি যে তোমাকে কিস করবো এত বেশি কথা বলো কেন কাছে আসতে বলছি কাছে আছো।
কাছে আসলে হাসিব তার দুই গালে দুইটা চুমু খায়।
হাসি ::এটা কি হলো আপনি না বললেন চুমু দেবেন না।
হাসি:: আমি কখন বলেছি চুমু দিব না আমি তো বলেছি কিস দেব না. তাই কিস না দিয়ে চুমু দিলাম।
হাসি:: শয়তান কুত্তা চিটার একটা।
হাসিব:: তাও তো তোমার বর।
হাসি:: জানি তাইতো এত বিপদে আছি।
হাসিব:: সেজন্য তুমি এক্ষুনি এখানে বসে লাঞ্চ কমপ্লিট করবে নো এক্সকিউজ।
কি আর করবে হাসিবের কেবিনে বসে লাঞ্চ কমপ্লিট করল।
কিছুক্ষণ পরে হাসিব হাসির কেবিনে যায়, গিয়ে বলে,
হাসিব:: আমার বউটা দেখি কাজ করতে করতে একদম শেষ!
হাসি:: কি ব্যাপার আপনি এখানে কেন আর কাউকে না বলে কারো কেবিনে আশা ঠিক না আপনি জানেন না?
হাসিব:: আমার অফিস আমার কেবিন আমার কাজ আমার যেখানে খুশি যখন ইচ্ছা যেতে পারবো এতে পারমিশনের কি আছে আর তাছাড়া যার কাছে এসেছি সে তো আমারই!
হাসি:: সেটাইতো.
হাসিব:: আচ্ছা চলো এখন বাসায় যাই
হাসি:: আপনি যেভাবে বলছেন মনে হয় আমি আপনার সাথে যাব।
হাসিব:: হ্যাঁ তুমি তো আমার সাথে যাবে
হাসি:: বয়ে গেছে আপনার সাথে যেতে
হাসিব হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসলো।
হাসি:: কি করছেন?  হাত ছাড়ুন।
হাসিব:: গাড়িতে ওঠো।
হাসি:: আপনি যান আমি রিক্সাতে যাব,,, ঔ রিক্সা
রিক্সা ওয়ালা:: কোথায় যাবেন আপা
হাসিব:: আরে মামা ও আমার বউ তো কোথাও যাবেনা একটু রাগ করেছে তো তাই এমনটা করতেছে তো তাই আমার সাথে যেতে চাচ্ছেনা. আচ্ছা মামা একটা ভালো উপদেশ দেন তো কি করে বউয়ের রাগ ভাঙানো যায়
রিক্সাওয়ালা:: ও আচ্ছা এই ব্যাপার তাহলে বাসায় নিয়ে গিয়ে একটু ভালো করে আদর যত্ন দিবেন দেখবেন রাগ পানি হয়ে গেছে
হাসিব:: ওকে মামা।
হাসি চোখ রাঙ্গে রিস্কাওয়ালা মামাকে ভয় দেখাচ্ছে কিন্তু রিস্কাওয়ালা মামা চলে গেল।
হাসিব:: গাড়িতে উঠো
হাসি:: বলছি না আমি আপনার সাথে যাব না. দরকার হলে হেঁটেই চলে যাব।
এই কথা বলে হাসি হাঁটা শুরু করল হাসিব পিছন থেকে দৌড়ে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিল।
হাসি কোল থেকে নামার জন্য লাফালাফি করছে কিন্তু নামতে পারছে না, নামার জন্য হাসিবের বুকে কয়েকটা কিল-ঘুসি ও মারলো কিন্তু লাভ হলো না।
হাসিব:: এত লাফালাফি করছ কেন লাফালাফি বন্ধ করো না হলে নিচে ফেলে দেবো।
হাসি ধমক খেয়ে চুপ হয়ে গেল।
রাস্তার লোকজন সিটি বাজাচ্ছে আর এই দৃশ্যটা উপভোগ করছে, একজন তো বলেই ফেলল ভাই চালিয়ে যান আর একজন বলছে ওয়াও নাইস কপাল হাসিব সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে অন্যদিকে হাসি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিয়েছে
বাসায় যাওয়ার পর হাসি মুখ ভার করে বসে আছে।
হাসিব:: কি ব্যাপার আমার বউটা এমন বাংলা পেঁচার মতো মুখটা ভার করে বসে আছে কেন
হাসি:: আমার মুখ আমি যেমন ইচ্ছা তেমন করে রাখি তাতে আপনার কি!
হাসিব:: আমারই তো সব, আমার বউ মুখ ভার করে বসে থাকবে আর আমি কিছু করবো না তা কি করে হয়?
হাসি:: ঢং, ঢং দেখে বাচিনা গা, জ্বলে যায়।
হাসিব:: আচ্ছা থাক এসব কথা বাদ দাও খিদা লাগছে তাড়াতাড়ি রান্নার ব্যবস্থা করো।
হাসি:: পারবোনা আমি রান্না করতে।
হাসিব:: তবে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
হাসি:: আমার কোনো সারপ্রাইজ লাগবে না।
হাসিব:: আরে শোনো না সারপ্রাজ সময় কিন্তু এক ঘন্টা।
হাসি:: কি?
হাসি:: সারপ্রাইজ টা হল আজকে আমি রান্না করবো।
হাসি:: সত্যিই।
হাসিব:: হ্যা তবে সারপ্রাইজ না একটা অফার বলা যায় তবে অফারের রেট টা শুনো।
হাসি:: কি. আপনার কি টাকার অভাব যে আমার কাছে রেট চাচ্ছেন?
হাসিব:: আরে আমি কি টাকার কথা বলেছি নাকি
হাসি:: তাহলে?
হাসিব:: কিস, তুমি আমাকে নিজে থেকে কিস করবে তাহলে আমি তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো।
হাসি:: ইম্পসিবল।
হাসিব:: তাহলে কি আর করার রান্নাটা তাহলে তুমি করো।
হাসি:: কিস না দিলে হয় না।
হাসিব:: নাগো হয় না।
হাসি:: আচ্ছা কিস দিব।
হাসিব:: সত্যিই।
হাসি:: হে. কিন্তু আগে রান্নাটা শেষ করেন তারপর।
হাসিব::‍ ওকে মাই ডিয়ার লক্ষী বউ আমি এখনই যাচ্ছি।
পর্ব সমাপ্ত …

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button