ধারাবাহিক গল্প

দুষ্টু বরের রোমান্টিক অত্যাচার  পর্ব ৪

ইমরান:: আজকে অফিসে যাব না।
মিম:: কেন?
ইমরান:: আজকে আমি আমার বউকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবো।
মিম:: দরকার নেই আমি অফিসে যাব।
ইমরান:: ওই আমি বলছি না আজকে ঘুরতে যাব ঘুরতে যাব তো যাবোই বেশি কথা বললে কিন্তু খবর আছে।
মিম:: আচ্ছা যাব!
ইমরান:: হুম সেটাই, যাও তাড়াতাড়ি রেডি হবে।
ইমরান:: যাও রেডি হও নাকি আমি।
মিম:: কিহ? আমি কি?
ইমরান:: নাকি আমি রেডি করে দেব।
মিম না:: না না আমি যাচ্ছি।
মিম ইমরান রিক্সায় পাশাপাশি বসে আছে মিম বোরকা পরেছে।
অবশ্যই ইমরান পড়তে বলেছে বোরখা কারণ ইমরান চায় তার বউকে বউয়ের সৌন্দর্য সে ছাড়া আর অন্য কেউ না দেখুক. মিমকে বোরকাতে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে। ইমরান ও কম কিসে নীল কালারের পাঞ্জাবি পড়েছে। চুলগুলো খাড়া খাড়া রাস্তায় একজোড়া capul ঘুরছে।আর রাস্তার সবাই তাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। কিছুদুর যাওয়ার পর তারা রিক্সা থেকে নেমে দুজন পাশাপাশি হাঁটছে। হঠাৎ ইমরান মিমের বাহুতে হাত দিয়ে চেপে ধরেছে। তখন মিম বলে উঠলো,
মিম:: কি করছেন? কি মানুষের এতো দেখছে?
ইমরান:: না ধরলে আমার বাবুটা যে পড়ে ব্যথা পাবে যে আর সবাই দেখছে তো কি হয়েছে. আমি কি অন্যের বউকে ধরেছি নাকি আমিতো আমার বউকে ধরেছি।
মিম:: ঢং দেখে বাচিনা।
ইমরান:: এগুলোর ঢং না গো বৌ এগুলো। ভালোবাসা. খুব ভালোবাসি তো তাই বোঝনা যেদিন আমি থাকবো না সেদিন বুঝবে।
তারা দুইজন গিয়ে পার্কের একটা জায়গায় বসলো হঠাৎ ইমরান বলে উঠল,
ইমরান:: তুমি চাইলে আমার কাঁধে মাথা রাখতে পারো।
মিম:: দরকার নাই।
দুজনই চুপচাপ কেউ কোনো কথা বলছে না। আবহাওয়া টাও কেন জানি অন্যরকম মেঘলা আকাশ, মনে হচ্ছে। এখনই বৃষ্টি নামবে। ঠান্ডা ঠান্ডা হিম হিম বাতাস। এই বুঝি আকাশ ছিদ্র হয়ে বৃষ্টি নেমে এলো।
এর মধ্যে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বিশাল বড়
পার্কের মধ্যে মানুষের তো অভাব নাই সবাই বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল।
ইমরান মিমের হাত ধরে এক দৌড় দিবে কিন্তু পারল না। কারণ মিম আসছে না।
ইমরান:: কি হলো আসো না কেন আমি বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি তো।
মিম:: আমি আজকে বৃষ্টিতে ভিজবো।
ইমরান:: মাথা খারাপ নাকি বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসবে তাড়াতাড়ি আসো।
মিম:: না জ্বর আসবে না আমি ভিজবো।
মিম না যাওয়াই ইমরান এক দৌড় দিল এদিকে মিম বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে কি সে তো বাচ্চাদের মত লাফালাফি করছে ইমরান মুগ্ধ হয়ে দেখছে.।
ইমরান আজকে মিমকে নতুন রূপ দেখল।
মিমের ঠোঁট বেয়ে বেয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। ইমরানের চোখ যেতেই তার মধ্যে এক রকম নেশা কাজ করছে।ইমরান মিমের দিকে এগিয়ে আসছে। মিম এর কাছে এসে মিমের গালে হাত রাখল.
মিম তো বুঝতেই পারছেনা কী হতে যাচ্ছে। মিমের সাথে ইমরান প্রেমের গালে দুই হাত রাখল। তারপর দুইগালে দুটো চুমু খেলো হঠাৎ মিম বলে উঠলো,
মিম:: কি করছেন তারা কি সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।
ইমরান মিমের কথা শুনে চারি দিকে তাকাল এখানে অনেক মানুষ আছে অনেক ক্যাপল।
 হঠাৎ ইমরান মিম কে বলে উঠল এক মিনিট দাড়াও আমি আসছি এই বলে ইমরান কোথায় জানি চলে গেল. ইমরান কোথা থেকে যেন একটা কোট নিয়া আসলো।
ইমরান কোমর মিমের ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।
মিম:: কি করছেন টা কি পাগল হয়ে গেলে নাকি?
ইমরান:: চুপ একদম চুপ. একটাও কথা নয়।
মিম ধমক খেয়ে চুপ হয়ে গেল।
ইমরান কোট টা যে ইমরান ও মিমের মাথার উপর দিয়ে ঢেকে দিল।
ইমরান:: এখন তো আর কেউ আমাদের দেখছেনা।
মিম:: মাম মাম মানে?
ইমরান আর কিছু না বলে মিমের নরম গোলাপি ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ঘষে কিস করতে লাগল। (ইসসসস কি রোমান্টিক মোমেন্ট. ভাবতেই যেন কেমন কেমন লাগছে. প্রিয় পাঠক-পাঠিকা বৃন্দ আপনাদের কি তাই হচ্ছে) মিম তো ইমরানের স্পর্শ পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিল (যারা আশিকি 2 হিন্দি মুভি টা দেখেছেন তারা একটু দৃশ্যটা কল্পনা করেন) কোটেৱ ওপর দিয়ে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে আর কোটের ভেতরে একজোড়া কবুতর তাদের ভালোবাসা আদান-প্রদান করছে।
যা অন্য কেউ দেখছে না শুধু তারাই উপভোগ করছে. প্রায় 5 মিনিট ধরে কিস চললো ইমরান ও মিম এর মধ্যে. হঠাৎ মিমকে ছেড়ে কোট টা সরিয়ে ফেলল ইমরান মিম তো লজ্জায় কিছু বলতে পারলনা।
ইমরান তাকে এভাবে কিস করবে সে ভাবতেই পারেনি (প্রিয় পাঠক বিন্দু কিস দিয়ে আমি ভালোবাসা মানে রোমান্টিকতা বুঝাতে চাচ্ছি কারণ মেয়েদের মানে সবথেকে বেশি আমি তাদের ঠোঁট দেখে আকর্ষিত হই তাই আমি কিস টাকেই বেশি রোমান্টিক ভাবে নিচ্ছি আপনার আবার কিছু মনে কইরেন না) মিম ও কেন জানি বাধা দিতে পারলো না।মিমের সারা শরীর কাঁপছে ইমরান মিম এর কাছে এসে মীমকে কোট টা পরিয়ে দিল। ইমরান ফট করে মিম কে কোলে তুলে নিল. মিম আর কিছু বলল না।  ইমরানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ইমরানের মুখ বেয়ে বেয়ে বৃষ্টির পানি মিমেৱ মুখে পড়ছে.।
মিমের মাঝে এক অদ্ভুত শিহরন বয়ে গেল হঠাৎ করে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর মেয়ে ভয় পেয়ে ইমরানের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল।
পর্ব সমাপ্ত 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button