বলে ফেলো বিয়ে করবো !
একটু সাহস করে বলেই ফেলো না আব্বু আমি বিয়ে করবো, আম্মু আমি বিয়ে করবো। তোমার মতো ভালো গুনোবতি একটা দুষ্ট মেয়েকে দেখো। যদিও তোমার বয়স হোক ১৪ কি-বা ১৬। কেন লজ্জা পাও এমন সুন্দর কথা বলতে? জীবনে কতকিছু আবদার করছো এই মা-বাবার কাছে। সেগুলোর অনেক বিষয় ছিল ক্ষতিকর। কিন্তু বিয়েতে তো কোনো ক্ষতি নেই। যত তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে ততই ভালো। সব দিক দিয়ে।
পরিবারকে বলো………….. বিয়ের পরে কি আর খরচ? দেশে এমন কোনো পরিবার আছে যে একজন এক্সট্রা মানুষ কে খাওয়াতে পারবে না? গত পরশু তোমাদের বাড়ি থেকে তোমার নানু চলে গেছে তিন মাস থেকে তোমাদের বাড়িতে। তাতে কি তোমরা না খেয়ে ছিলে? একজন মানুষকে খাওয়াতে আলাদা কিছুর প্রয়োজন হয়না। শুধু মনমানসিকতা দরকার এতটুকু। তোমার পরিবারকে বুঝাও। তোমার মা যে কয়টা হাস মুরগী পোষে তার পিছনে যে পরিমান খাবার ধান, চাল, ভাত,গম খরচ হয় এর চেয়ে কি বেশি পরিমাণ একটা মেয়ে মানুষ খাবে। তোমরা শখ করে বাসায় কেউ বিরাল পোষো কেউ ডগ তাও আবার কয়েকটি করে। একটু চিন্তা করে দেখোতো একটা মেয়ে মানুষ আর কত খাবে? আজকে সমাজের মানুষ যেমন ধারণা ও কথা বলে তা শুনে আমার মনে হয় মেয়েরা রাক্ষস। ওরা মনে হয় হাতির চেয়েও বেশি খায়। বিয়ের কথা আসলেই বলে কি খাওয়াবে বৌ কে? আগে নিজের পায়ে দাড়া হও।
পড়তে ক্লিক করুন পাঁচ মাসের বাচ্চার সাথে ৪০ বছরের নারীর বিয়ে।
আমাদের সমস্যা………. আমাদের সমাজের সমস্যা হলো ছেলের পুত্র বঁধুকে আপন করে দেখা হয়না। এ কথা কেউ মেনে নেয়না ছেলের পুত্র বঁধু ঘরের মে চলে যাওয়ার শূণ্যতা পুর্ণ করবে। প্রতিটা ছেলের মা-বাবা যদি এটা ভাবতো আমার মে চলে গেছে। মেয়ের পিছনে যে খরচ হতো সেগুলো বঁধুর পিছনে করবো। অথবা আমাদের যদি আরো একটি মেয়ে থাকতো তখন? সব কিছু তো ছেলেরই হবে।
কেমন বিচার? ঘরের মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছে ১৫ বয়সে। আর ছেলের বিয়ে দেয় ২৫ বয়সে। তখনো নাকি ছেলে পায় দাড়াতে পারে না ভালোভাবে। ২৫ বতসরের ছেলে নিজ পায়ে দাড়াতে পারেনা আর ১৫ বতসরের মেয়ের ছেলে তখন দৌড় প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হয়েছে। সয়ং নিজে চেচিয়ে চেচিয়ে বলছে রাবেয়ার ছেলে আমার নাতি দৌড়ে ফাস্ট হয়েছে। এরকম বয়সে তার ছেলেও দৌড় প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হয়ে অনেক প্লেট গ্লাস এনেছে। সেগুলো এখনো আলমারিতে সাজানো রয়েছে। ঐ বাবাই সেগুলো সকাল বিকাল দেখে ছেলেকে নিয়ে গর্ব করে ছেলের মায়ের সাথে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস ২৫শে এসে পা ড্যাম হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো হোচোট পর্যন্ত খায়নি রাসেল।
পড়তে ক্লিক করুন পাঁচ বৎসর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়ে মা হলেন।
বাবা একটুও চিন্তা করলো না তার ১৫ বৎসরের মেয়েকে চাকরিওয়ালা ৩০ বৎসর জামাইয়ের সাথে যে বিয়ে দিল প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে তার মেয়ের ১০ বৎসর আগে ঐ জামাই যখন মরে যাবে তখন শেষ বয়সে তার মেয়ের কি পরিনতি হবে! এরকম পরিনতির কথা দাদা ছাড়া যেসব দাদি বেঁচে আছে তাদের কাছ থেকে খুব ভালো করে জানতে পারবে। তবে আমার নিজ বাড়িতে দাদা নাই বললেই চলে। যা আছে সব দাদি। হয়তো এসব দাদিরাও এমন স্বার্থপর বাবার মেয়ে হয়ে জন্ম হয়েছিল। যে বাবা মেয়ের পিছনে খরচ করা থেকে পরিত্রাণ পেতে অল্প বয়সে বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে দিয়েছে।
বিয়ের উপকারীতা।…………….
বিয়ের পড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যদি আজকে সমাজ এমন হতো অল্প বয়সেই ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিত। কিন্তু ছেলে থাকতো ছেলের বাড়ি আর মেয়ে থাকতো মেয়ের বাড়ি। শুধু তাদের ভালোবাসা বৈধ হতো। ধর্ম অনুযায়ী পাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারতো। নিজেই একটু চিন্তা করো, তোমার এতটুকু জীবনে কয়জনকে ভালোবাসা দিয়েছো? কম হলেও এক হালি হবে। এতগুলো ভালোবাসা দেয়া ও নেয়ার জন্য তোমার পড়ার টেবিলে চিন্তা করে কত সময় কেটেছে ! যদি ১৪ বয়সে বিয়ে হতো এই সময়গুলো অযথা নষ্ট হতো না। যদি তোমার সেই মানুষ টি তোমার ক্লাসের ছাত্রী হয় তাহলে পড়ালেখাও দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হতো। কারন এখন শশুর বাড়ি এবং নিজের বাড়িতে রেজাল্ট শোনাতে হবে। শুধু কি তাই! স্কুল ফাঁকি তার পড়ে স্কুলে দুষ্টমী,আড্ডা কেউই দিতে সাহস পেতো না। কারণ দুজনের উপরে শুধু দুজনের অধিকার। একটু ভেবে দেখো এক হালির পিছনে যে সময় দিয়েছো তার চেয়ে এমন হলে কেমন হতো! অবশ্যই মাঝে মধ্যে দুজনের মধ্যে মিষ্টি ঝগড়াও হতো। মুল কথা অল্প বয়সে বিয়ে করলে ভালোবাসা ইনজয় করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। আর যদি ত্রিশ বতসরে বিয়ে করো তখনতো জীবনের অর্ধেক সময় শেষ। এখন কবরের চিন্তা করবে না কি ভালোবাসা কোনটা। তখনতো অটোমেটিক অর্ধ বুড়ো। গড়ে আয়ু ৬০হলে আর মাত্র ৩০ আছে।
বিয়ের বয়স।
চিন্তা করো………… আজ বিশ্বের কিছু কিছু দেশে সমকামীর মতো জঘন্যতম মতবাদকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কিন্তু তার চেয়েতো বিবাহ অনেক সুন্দর একটা জীবন ব্যাবস্থা হোক সেটা অল্প বয়সে। বয়স দিয়ে যখন কিছু আটকে থাকে না তখন বিয়ে কেন আটকে থাকবে। নিজেকে রক্ষা করো তার সাথে নিজের ভালোবাসাকেও। ভালো থেকো সুস্থ থেকো কামনা করছি। পড়তে ক্লিক করুন ভালোবাসার ফোড়ন।
লেখক আবুল হাসান বাউফলী
ah2777721@gmail.com