নাটোরের সিংড়ায় ভালোবাসা দিবসে এক ভিন্নরকম উদ্যোগ নিয়েছে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুলের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের রাকেশ সাহা ও রওজাতুল ফেরদৌস নামের দুই শিক্ষার্থী । ভালোবাসা দিবসে গরীব দুঃখী ও শ্রমজীবী মানুষদের ও শিশুদের প্রতি ভালোবাসা দেখতে তাদের এই ভিন্নধর্মী আয়োজন। তাদের এই আয়োজনটি সম্পূর্ণ নিজেদের অর্জিত এবং জমানো টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা । তারা ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পায়ে হেঁটে সিংড়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কিছু খাবার বিতরণ করেন। সিংড়া উপজেলার বাজার এলাকা, থানার মোড়, উপজেলা চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, দমদমা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কিছু ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দিতে দেখা গেছে তাদের। শুধু খাবারই না, বরং খাবার শেষে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভালোবাসার প্রকাশ দেখিয়েছেন তারা। ভালোবাসা দিবসে অসাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়াতে তাদের এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
রাকেশ সাহা গত তিন বছর ধরে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ নামের সংগঠনটির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তারা প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গায় মাদক, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছে। করোনার শুরুতে মাস্ক, লিফলেট বিতরণের মত কাজও করেছে সংগঠনটি।
রাকেশ সাহা বলেন, ভালোবাসা দিবসে অনেক কাপল পার্কে ঘুরতে যাচ্ছে। আবার রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক দামি দামি খাবার খাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের দেশের অনেক গরীব লোক আছে যারা বস্তিতে বাস করছে। সারাদিন ভিক্ষা করেও পেটে সামান্য আহার জুটছে না। আমাদের মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মনে হয়েছে এসব গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। তাই আমরা দুইজন মিলে এই সিদ্ধান্ত নেই যে, আমরা আমাদের নিজেদের উপার্জন করা জমানো টাকা দিয়ে কিছু গরীব দুঃখী মানুষের মুখে সামান্য খাবার তুলে দিব। আমরা শুধু চাই এই ভালোবাসা দিবসে তারাও যেনো একটু আনন্দ পায় এবং ভালোভাবে বাঁচার ভরসা টুকু পায়।
রওজাতুল ফেরদৌস ও তার মা বলেন, আমরা যদি কয়েকজন মিলে একটা সেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে এভাবে সমাজসেবা করে যাই, তাহলে একদিন নিশ্চই আমরা একটা ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে পারবো। দেশের জন্য এবং দেশের মানুষদের জন্য আমাদের কাজ করতে সবারই একটু করে এগিয়ে আসা উচিত। সকলের সহযোগিতায় আমরা আমাদের এমন কাজের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবো।এরজন্য আমরা সবাই দোয়াপ্রার্থী।