জীবন গল্পফিচার

বয়সের তুলনায় আমি বেশি এগিয়ে গেছি-কাব্য কবির

মোহাম্মদ হাসান

মোহাম্মদ হাসান: ঠিক তার নামের মতোই তার জীবন। কাব্যময়। সময়গুলো তিনি কাব্যের ভিতর থেকেই উপভোগ করেন। কাব্য জড়িত রয়েছে তার নামে ও প্রতিটি নিশ্বাসে। কাব্য কবির একজন তরুণ কবি। ছোটো বেলা থেকেই তার ঝোঁক ছিল সাহিত্যের প্রতি। লেখাও হত তার নিয়মিত। কিন্তু ২০১৬ সালে কবি ঢাকা আসে। ঢাকায় আসার পড়ে লেখার প্রতি তার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। তখন থেকেই দেশের জাতীয় পত্রিকায় লেখা লেখি শুরু করেছেন। কালের কন্ঠ,ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সহ বেশ কিছু ম্যগাজিনেও।

বলা যায় জীবনের প্রথম থেকেই তিনি লিখতে শুরু করেছেন। নতুন করে তার  স্যার ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল এর অনুপ্রেরণায় এই সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেন মূল ভাবে।  কাব্য কবির তার সাহিত্য চলার অল্প কদিনের পথেই তার থলে যোগ হয়েছে দুইটি সম্মাননা। এছাড়াও কবি নিজেই মুক্তকথনকে বলেছেন আমার বয়সের তুলনায় আমি বেশি এগিয়ে গেছি। কাব্য কবির ১৯৯৯ সালে বরিশাল বিভাগের তালতলী থানায় জাকির তবক গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। কবি তার কর্মজীবন ঢাকায় চিলড্রেন ফেয়ার সেমিস্টার স্কুল এর টিচার হিসেবে অতিবাহিত করছেন। কবি ২০০৮ সনে সরদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে  প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। ২০১৪ সালে তালতলী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, শেষ করেন।২০১৬ সালে তালতলী ডিগ্রি কলেজ থেকে  এইচ,এইচ,সি শেষ করেন।  কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এবার অনার্স শেষ করার মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবন সমাপ্তি ঘটে।

কবির লেখার মধ্যে ফুটে উঠে নানান রকমের চেতনা। দেশকে কবি মায়ের আঁচল হিসেবে সম্মোধন করেছেন তার একটি ছন্দে।

দেশটা হলো মায়ের আঁচল দেশকে ভালোবাসি,

দেশের রূপে মুগ্ধ হয়ে চাঁদের মতো হাসি।
পূর্বদিকে ওঠে যে রোজ টুকটুকে লাল রবি,
রোদে ভিজে প্রকৃতি হয় যেন সোনার ছবি।

রোদে ভিজে ইলিক ঝিলিক হাসে কলমি বিল,
দূর আকাশে ডানা মেলে দেখে শঙ্খচিল।
মাটির গন্ধে শান্তি যে পাই ভরে ওঠে বুক,
বিদেশ গেলে মনে পড়ে দেশমাতারই মুখ।

কবির মনে রয়েছে বাবার জন্য অনেক ভালোবাসা। তার বাবা ভিন্ন এক কাব্য জগতে পাড়ি দিয়েছেন। আর কখনো ফিরে আসবেন না। বাবার ভালোবাসা কবি এভাবেই লিখেছেন,,,,,,

আমায় ফাঁকি দিয়ে বাবা কোথায় তুমি গেলে
আর না ফিরে এলে।
টুকটুকে লাল জামা তুমি দিতে আমায় কিনে,
একটা দিনও ভাল্লাগেনা বাবা তোমায় বিনে।
রাতের বেলা তোমার কথা মনে পড়ে রোজ,
মায়ের কাছে সব সময়ই নেই যে তোমার খোঁজ।
তোমার জন্য হণ্যে হয়ে কাঁদি আমি যখন,
মা যে বুঝায় তখন
তোর বাবা ঐ নীল আকাশের বুকে
আছে অনেক সুখে।
সেদিন থেকে আকাশপানে আমি চেয়ে থাকি,
বাবা বলে ডাকি।
কবুতরকে বন্ধু ডাকি বলি তাকে প্রিয়
আমার লেখা রঙিন চিঠি বাবার কাছে দিও।

 

Related Articles

Back to top button