জীবন গল্পফিচার

প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম ১৩০০ কবির মধ্যে_জালাল জাবির

দামের গাড়ি টগবগিয়ে
ছুটছে আরো ছুটতে দাও
পাখনা মেলে উড়ছে যারা
তাদের কে আজ উড়তে দাও

নিজের মতে যা খুশি তাই
করছে যারা করতে দাও,
পরের টাকায় নিজের পকেট
ভরছে যারা ভরতে দাও।

চাটুম চুটুম করছে শাসন
করছে যারা করতে দাও,
দেশের অর্থ লুটেপুটে
গড়ছে প্রাসাদ গড়তে দাও।

উন্নয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে
খাচ্ছে যারা খাইতে দাও,
নৌকাটাকে পুঁজি করে
ধাইছে যারা ধাইতে দাও।

অতিশিগ্রিই পৃথিবী মঙ্গলগ্রহে রুপান্তরিত হবে, বোরিস্কা

প্রতিবাদ অনেক ধরনের হয়। কেউ রাস্তার পাশে ব্যানারে হাত রেখে মুষ্টি কয়েকজন লোক নিয়ে। কেউ উদ্দ্যানে, ময়দানে বড়ো বড়ো সমাবেশ করে হাজার মানুষের সমাগমের মাঝে। কেউ টুপটাপ লাইভে এসে কয়েকটি কথা বলে সত্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে। কেউ চুপি চুপি বই লিখে। আবার কেউ নির্জনে কলম ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে ছন্দ আঁকার মাধ্যমে। ছন্দের মাধ্যমে প্রতিবাদ এটা আজ নতুন নয়। বেশ পূর্ব থেকেই এর প্রচলন ঘটে আসছে। ঠিক ছন্দের মাধ্যমে প্রতিবাদি এক কবিকে নিয়ে আজকে পুরো ফিচার টি সাজবে।

 

জালাল জাবির দেশের একজন তরুণ কবি।বয়স মাত্র আঠারো। কিন্তু হেটে দৌড়ে লাফিয়ে অতিক্রম করেছে অনেক পথ। লিখে তা ফুটিয়ে তোলা বোধহয় একেবারেই অসম্ভব। তার সাহিত্যের  প্রতি ঝোক ছিল ছোটো বেলা থেকেই।  স্কুল জীবনে অনেক কবিতা লিখেছে  কিন্তু পাঠ্য বইয়ের লেখার খাতায় লেখা সেই কবিতাগুলো খাতার সাথে সাথেই হাড়িয়ে গেছে।তারপরে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পরে মোবাইল ও ফেইসবুকের সুবাদে অনেক লেখকদের সাথে পরিচিত হয়। সেখান থেকেই নতুন করে শিখেছে ছন্দ মাত্রা। তখন থেকেই নিয়মিত লেখালেখি করে। মাত্র দুই বৎসর লেখার বয়সে চারশত কবিতা ছাড়িয়েছে আনুমানিক।

বৃদ্ধাশ্রমে নয় পরিবারেই থাকি মিলেমিশে

কবি জালাল জাবির ২০২০ সালে সিলেট কবি সাহিত্য একাডেমি কতৃক আয়োজিত ছড়া/কবিতা প্রতিযোগিতা প্রায় ১৩০০ কবির মধ্যে ফাস্ট হয়ে প্রথম পুরস্কৃিত হয়েছেন। এবং ২০২০ সালেই মা আমি যুদ্ধে যাবো যৌথ বইয়ের সেরা লেখক সম্মাননা পেয়েছেন। কবি মাদারীপুর, কালকিনি থানায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা ও প্রিয় গ্রাম। কবি লেখার প্রথম জিবনে সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপরে লিখতেন কিন্তু এখন শিশুতোষ লেখার মাধ্যমে তার সাহিত্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। নিম্নে একটি কবিতা দিয়ে কবির চেতনাকে ফুটিয়ে তোলা হলো।

কার মাঠে যায় কার গরুটা
কার গোয়ালে মহিষ কার,
খুঁজতে গেলে এসব কিছু
হতে পারো বহিষ্কার।

আমলা থেকে কামলা কাজী
উপরি চলে রমরমে,
উপরে ফিট থাকলেও ঘাঁ
ভেতরে খুব দমদমে।

কে করেছে অর্থ পাচার,
কার বৈয়ামে কত আচার।

এসব খোঁচা বাদ দিয়ে দাও
চলো তাদের হেকমতে,
বুঝতে হবে এগুলো সব
উপরতলার চেকমতে।

Related Articles

Back to top button