বিজ্ঞান

কৃত্রিম গর্ভের মাধ্যমে সন্তান জন্ম

মুক্তকথন প্রতিবেদন

বিজ্ঞান এগিয়েই চলছে। থামবার কোনো লেশমাত্র তারা নেই। একের পর এক অসম্ভব কে সম্ভব করে চলছে। হতবাক করে দিচ্ছে নিত্য দিনই পৃথিবীর মানুষ কে। যার ফলে সহজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, কাজকর্ম ও ধারন ক্ষমতা। কি আর করতে বাকি রাখলো  বিজ্ঞান? চন্দ্র বানালো। সূর্য বানালো। পৃথিবী ছেড়ে আকাশ পথেও তাদের ঘাটি ঘেরেছে আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখন আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে নতুন কিছু জয় করার। যা শুনলে চমকে যাবে সবাই। এমনই এক নতুন ভাবনা শুরু করেছেন ইয়েমেনি বিজ্ঞান যোগাযোগকারী, হাশেম আল-গাইলি। কাল্পনিক এক ভিডিও তিনি প্রকাশ করেছেন ইতিমধ্যে। যা বিশ্ববাসীর কাছে আলাপন হিসেবে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ভিডিওতে তিনি দাবি করেন EctoLife এর মাধ্যমে একসাথে ৪০০ টির মতো কৃত্রিম গর্ভের মাধ্যমে নবজাতক তৈরী করতে সক্ষম হবে। আগামী ১০ বৎসরের মাধ্যে এমন একটি ল্যাব তৈরী করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন। ৭৫ টি ল্যাব নিয়ে একটি EctoLife গঠিত হবে। যা বৎসরে ৩০,০০০ হাজার শিশু উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে দাবী করেন আলোচিত সেই ভিডিওতে। যদিও এগুলো এখন মাত্র এক বিজ্ঞানের কল্পনা। মিলেনি এখনো কোনো আইনি স্বীকৃতি।
EctoLife এর মাধ্যমে রোধ করা যাবে গর্ভ পাতের সময় মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু। এছাড়াও যেসব দেশে মানব শূন্যতা রয়েছে  সেসব দেশে EctoLife এর ধারা জন্মের হার বৃদ্ধি করা যাবে। তাদেরও বেশ সহজ হবে যেসব দাম্পত্যি বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাচ্চা নিতে দ্বিমত করে আসছে। বাবা-ময়ের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহের মাধ্যমে মিলিত করে এই কৃত্রিম গর্ব পাত ঘটানো যাবে। গ্রোথ পডগুলিতে ক্ষুদ্রাকৃতির বায়োরিয়াক্টর এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির মাধ্যমে এই কৃত্রিম গর্ভগুলি বাড়িতে ব্যবহার করা যাবে ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার পরিবর্তে।
কৃত্রিম এই EctoLife থেকে বাচ্চার শারীরিক গঠন ও রং, দৈর্ঘ্য সবকিছুই ইচ্ছে মতো সেটাপ করা যাবে। মজার বিষয় হলো মা-বাবা সন্তানের অবস্থান মোবাইলে লাইভের মাধ্যমে দেখতে পাবে। শুনতে পাবে শ্বাস নিঃস্বাস এবং বলতে পারবে সন্তানের কানে কথা। একটি সন্তানের সঠিক ও সম্পুর্ণ গঠন তৈরী হতে কতদিন সময় লাগতে পারে তা এখনো যানা যায়নি।

Related Articles

Back to top button