কবি পরিচিতিসাহিত্য সংবাদ

উদয়ের পথে আওলাদ হোসাইন সজীব

এক নজরে আওলাদ হোসাইন সজীব

মোঃ আওলাদ হোসাইন সজীব
৮ই মে ১৯৮১ ইং নোয়াখালী জেলার চাটখীল থানাধীন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা:- মোঃ আনোয়ার হোসেন ও
মাতাঃ- জাহানারা বেগমের পাচ ছেলে মেয়েদের মধ্যে তৃতীয় সন্তান তিনি  
পরিবার সহ ঢাকায় বেড়ে ওঠা আওলাদ হোসাইন সজীব
৪ বছর বয়সে পুরাতন ঢাকার সুত্রাপুর থানাধীন ঢালকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয় তিনার শিক্ষা জীবন , পারিবারিক নানামুখী সমস্যা উপেক্ষা করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করেন তিনি ।
এবং জীবনের তাগিদে সত্য পথে থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন গল্প উপন্যাস ও কবিতার বই পড়ার আগ্রহ আর নিজের মনের কথা ডাইরিতে লিখে রাখার প্রবনতা থেকেই কবিতা গল্প ও নাটক লেখার সুত্রপাত হয়, যা ডাইরির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকত।
তবে স্বাধীনতার ২৫ বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে পুরাতন ঢাকায় গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন “সীমান্ত খেলাঘর আসর” এর স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘একাত্তরের ঘাতক ‘শিরোনামে একটি নাটক লিখেছেন এবং সেই নাট্য মঞ্চে নিজেই ঘাতক বা রাজাকার চরিত্রে অভিনয় করে সম্মাননা অর্জন করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে নানান রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জীবনের চাহিদায় ব্যাস্ত হয়ে কিছুদিন লেখালেখি থেকে দুরে থাকলেও
সময়ের ব্যবধানে আবার মনযোগী হোন লেখালেখিতে ।
২০০৬ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নার্সিং ও প্যরামেডিক্যাল কোর্স করেন। ২০০৭ সালে মডার্ন হারবাল গ্রুপের সহায়তায়,
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কোর্স করেন অতঃপর ঢাকা গেন্ডারিয়ায় ধুপখোলা মাঠের দক্ষিণ পাশে “”মা হারবাল/ভেষজ ফার্মেসী”” নামক চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করে অসংখ্য মানুষকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পাশাপাশি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে মার্কেটিং ম্যনেজম্যান্ট কোর্স করে বিভিন্ন কনফারেন্স লাউঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং সিস্টেম উপস্থাপন করে মডার্ন হারবাল ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ সমন্বয়ে
“পি ও টি” (প্রেজেন্টার অফ ট্রেইনার) এবং
“টি ও টি” (ট্রেনিং অফ ট্রেইনার) সনদ অর্জন করেন।
২০০৯ সালের ২৫শে জানুয়ারী মা’য়ের পছন্দমতো নোয়াখালীতেই বিয়ে করে ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক হন।
২০১৪ সালের ১২ই এপ্রিল দুরারোগ্য ব্যধিতে মা’য়ের মৃত্যু শোকে কবি সাময়িক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে সব কিছু ছেড়ে দীর্ঘদিন অলস সময় অতিবাহিত করে ২০১৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বরে কুয়েত প্রবাসে পাড়ি জমান। এর পর থেকেই প্রবাসে বসে শুরু হয় তার ।
এছাড়াও কবি বর্তমানে বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করে অনেক সুনাম অর্জনের পাশাপাশি কয়েকটি
যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে ।

Related Articles

Back to top button