খোলা মতামত

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাঁচ দেশ থেকে যৌথ সেনা পাঠাবে

লিখেছেন আবুল হাসান বাউফলী

মুখ চেপে হাসতে ইচ্ছে করছে আমার। মুসলিম বিশ্বের কান্ডকারখানা দেখে। যখন পশ্চিমারা অন্ধভাবে নিজেরাও বর্ণবাদী তার পরিচয় দিতে গিয়ে ইসরায়েল কে সমর্থন দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তখন মুসলিম বিশ্বের আরব নেতারা যুদ্ধ থামানোর জন্য কায়রোতে শান্তি সম্মেলন নামে একই টেবিলে চা বিস্কুট খাচ্ছে ফিলিস্তিন ও বাইতুল মোকাদ্দাস এর জন্য। যখন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সরকারি নীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং সামরিক তহবিল হিসেবে ১৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক অর্থায়নের জন্য ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় স্বাক্ষরিত ১০ বছর মেয়াদী একটি চুক্তির অংশ এই অর্থ। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দশ বছরে ইসরায়েলকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে। তখন মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের জন্য মাত্র ত্রাণ পাঠাচ্ছে। কেউ আবার ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য সিমান্ত খুলে দিচ্ছে।

যদি এসব তালবাহানা না হয়ে যদি মিডিয়ার হেডলাইন দেখা যেত ” ফিলিস্তিন রক্ষায় পাঁচ দেশ থেকে যৌথ সেনাবাহিনী যাবে গাজায় ” দেশগুলো হলো ইরান,সৌদিআরব, তুরস্ক,পাকিস্তান ও মিসর। এই পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে একই রকমের বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মুসলিম এই সেনাবাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে (জি বি এম)  তারা বলছে এ লড়াই হবে ইসলামের পক্ষে লড়াই। কাবা ঘরের ইমামের উপস্থিতিতে দোয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনী যাত্রা শুরু করেছে গাজায়।

তার একটু পর পরই আল-জাজিরার হেডলাইনে দেখতে পেতাম “ফিলিস্তিনি মুসলমানদের আল্লাহু আঁকবর ধনিতে পিছু পা হটছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী”। ওদিকে বিবিসিও হেডলাইন দিত ” ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কপালে চিন্তার ভাজ”। তার পরে কয়েকদিন পরে পৃথিবীর বাতাসে শোনা যেত নিশ্চিহ্ন হয়েছে বর্ণবাদী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। তখন শান্ত হত এই ধরা। মুক্তি পেত মানবতা। হাসতো ফিলিস্তিন।

Related Articles

Back to top button