কবিতা

সৌরভ আহমেদ শ্রাবণের কবিতা ভীরু

 

ভীরু হয়ে তিলে-তিলে মরিস কেনো’রে ভাই ?
মরণের আগেই নড়েচড়ে,বীরের মরণ চাই।
এসো তবে ভাই মরণ নিয়ে চুক্তি করি ভবে?
মরণের আগেই মরে তারা,নীরবে সহে সবে।
ভীতু হয়ে মরনের চেয়ে, সত্য পথটিই খুঁজি,
সময় এসেছে ভাই শির উঁচু করিতে আজি।
তোমারই গায়ে দীপক রাগেতে মরণের হাসি,
রণ সঙ্গীতে বাজাও তোমারই বিষের বাঁশি।
বেজে উঠুক রাঙা তলোয়ার জীবনের গীত,
ভীতুর নিকট বিজয়ের চেয়ে হোক হারজিৎ।

“চোখের সামনে রক্ত সাগরে ডুবেছে বিবেক”,
ভাইয়ের রক্ত করিস পান চেয়ে চেয়ে আরেক।
মৃত্যু “তোদের গ্রাস করেছে বেঁচে থাকা পাপ”?
ভীতু হয়ে জন্ম নেওয়া যে মানুষের অভিশাপ!
বেঁচে থাকতেই ঝুলবে গলায় কলঙ্কেরি মালা ,
বুঝবে তখন হায় হায় করিবে,ভীরুর কী জ্বালা?
ক্রীতদাসীর জীবন যাপন করেছে ভাই ভীরু,
বিশাল আকাশ পেয়েও, সেতো পেয়েছে সরু।

মরণকে হরণ করো এবার ভীরুতা আর নয়,
তোমার হস্ত ঘাতে কেঁপে উঠুক মিথ্যা অভিনয়।
ধরার মায়ায় পিছে রেখে ভাই সিংহের গর্জন,
সকল অধিকার নাও ছিনিয়ে জীবন বিসর্জন।
“ধরার বুকে দামি হতে হলে,ভীরুর ছায়া ছাড়ি,
মরণের আগে ভীরু টাকে নিজের হাতে মারি”।
দেশ,জাতিকে বাঁচাও,বাঁচো আপনার সাহসে ?
মরণ পথে পথে ঘুরে ফেরো আপনার দেশে।
জাগো এবার! ভীরু মরেছে বারবার অবশেষে,
সাহসী একবার মরে শির উঁচু করে হেসে-হেসে।

(সংক্ষিপ্ত)

Related Articles

Back to top button