ধর্মের জ্ঞানপ্রভুর বাণী

যিনি শয়তানকে দেখেছিলেন

ইমাম গাযালী (রহঃ) কাশফওয়ালা এক সূফী বুযুর্গের একটি  ঘটনা লিখিয়াছেন যে, তিনি আরাফার দিন শয়তানকে দেখিতে পাইলেন, অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িতেছে, চেহারা হরিদ্রাবর্ণ হইয়া যাইতেছে, চক্ষু হইতে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। কোমর সোজা করিয়া দাঁড়াইতে পারিতেছে না, ঝুঁকিয়া পড়িতেছে। সেই বুযুর্গ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুই কাঁদিতেছিস কেন? সে বলিল, আমি এইজন্য কাঁদিতেছি যে, হাজীগণ ব্যবসা ইত্যাদি (দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য) ছাড়াই আল্লাহর দরবারে হাজির হইয়াছে। আমার ভয় ও দুঃখ হইতেছে আল্লাহর পাকযাত তাহাদিগকে নিরাশ রাখিবে না। এই দুঃখে কাঁদিতেছি। বুযুর্গ বলেন, তারপর আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তুই দুর্বল হইয়া গেলি কেন? সে বলিল, ঐ সকল ঘোড়ার আওয়াজে যাহা সর্বদা আল্লাহর রাস্তায় (হজ্ব, ওমরা, জেহাদ ইত্যাদিতে) ফিরিতে থাকে। হায় যদি এই সকল বাহনগুলি আমার রাস্তায় (অর্থাৎ খেল-তামাশা দুষ্কর্মে ও হারাম উপার্জন ইত্যাদিতে) ফিরিত তবে আমার নিকট কতই না ভাল লাগিত। বুযুর্গ বলিলেন, তোর চেহারা কেন এরূপ হরিদ্রাবর্ণ হইয়া গেল? সে বলিল, লোকেরা একে অপরকে নেককাজে উৎসাহিত করে এবং এই কাজে একে অপরকে সাহায্য করে। যদি তাহাদের পরস্পর এই সাহায্য গুনাহের কাজে হইত তবে আমার জন্য কতই না আনন্দের কারণ হইত। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোর কোমর কেন ঝুকিয়া গেল? সে বলিল, বান্দা সর্বদা বলে, হে আল্লাহ, খাতেমা বিল খায়ের অর্থাৎ ঈমানের উপর মুত্যু দান করিও। যে ব্যক্তি সর্বদা মৃত্যুর চিন্তায় থাকে সেকি কখনও কোন নেক আমলের উপর অহংকার করিতে পারে?

Related Articles

Back to top button