কবিতা

গোলকধাঁধা

নিহার বিন্দু বিশ্বাস

আমি একমুঠ সমুদ্র হাতে নিয়ে ঘুরি।

জলের কাছে যাই। প্রশ্ন করি।

সুখ বিলাই দুয়ারে দুয়ারে অমন করে।

আমি নদীর কাছে যাই, স্রোতধারা বুকে নিয়ে।

প্রশ্ন করি। নদীর বিলুপ্ততা নিয়ে।

কীভাবে নাব্যতা হারায় জীবন থেকে।

আমি পাহাড়ের কাছে যাই-

ঝরনার কাছে প্রশ্ন করি। ঝরনার উৎপত্তি নিয়ে।

ঝরনার জলে হেসে থাকা মুক্তার জন্মবৃত্তান্ত জানি ;

তার বুকের ওড়না খুলে পৃথিবী হাসে নয়ন মেলে।

আমি পর্বতের কাছে যাই –

জিজ্ঞেস করি, তার শৃঙ্গ কতো উঁচু

কতো হাজার বছর লেগেছে এখানে আসতে।

যোজন যোজন সময় প্রতীক্ষা করেছে

একজন প্রেমিক পুরুষ কিংবা একজন প্রেমিক নারী

কীভাবে জয় করবে পর্বতশৃঙ্গের লালা।

কাঞ্চনজঙ্ঘা যে দেখেনি,জন্ম যার হয়নি

সে এখনো আসেনি ধরায় গতীর সীমানায়।

আমি জোছনার কাছে যাই –

প্রশ্ন করি, ভালোবাসি। তার সৌন্দর্যে মোহিত হই

ক্ষণিক বসে থাকি তারই গোপনাঙ্গে।

উপভোগ করি,শৃঙ্গাররস,চেতনার সুবাতাস।

আমি চাঁদের গহ্বরে যাই –

দেখি, তার বিরহের থলি খুলে।

সেখানে,বাস্তবতার যুবক খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটে

পৃথিবীর পথে। পায় না সীমানা সত্য পথের।

আমি আন্তিমে দাঁড়িয়ে আমাকে প্রশ্ন করি

হে যুবক, কী বুঝলে তুমি? গোলকধাঁধায় জড়িয়ে?

 

 

Related Articles

Back to top button