প্রবন্ধ

আলেমের মহব্বত – জাহিদুল ইসলাম

আমি কবির বিন সামাদ ভাইয়ের একজন বড় ভক্ত।
এতটাই তাঁর ভক্ত ছিলাম যে রাত্রে ঘুমিয়েও তাকে স্বপ্ন দেখতাম। আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু তাকে সরাসরি কোনো দিন দেখার সুযোগ হয়নি।
বিভিন্ন জায়গায় নিকটবর্তী মাহফিলে তার নামটা শুনলেই ছুটে যেতাম ভাইয়ের ওয়াজ শোনার জন্য।
একদা বেনাপোল বর্ডারের পার্শবর্তী গাতিপাড়া নামক গ্রামে সেখানে এক স্কুলেও তার বয়ান শুনে মুগ্ধ হয়েছি। তখন থেকেই যেন মনে হতো ভাইকে যদি একটি বার জড়িয়ে ধরে মনের জমানো কথা গুলো বলতে পারতাম!
(যেমনটা আজ মুক্তকথনে বলছি)
সেইদিন রাতে মাহফিল শেষে রাত ১.৪০ দিকে ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় ও স্বপ্নে দেখতে পেলাম “কবির বিন সামাদ ভাইয়া ও আমি একই নৌকা করে একটা প্রোগ্রামে যাচ্ছি”। নৌকা থেকে নামার সময় ভাইয়া আমাকে বলল”আমার হাতটা ধরো”
আমি ধরলাম এবং তাকে সহ আমাকেও অতিথি হিসেবে রাখছিলেন। এগুলো হলো স্বপ্নের কথা
এভাবেই প্রতিনিয়ত আমি কবির বিন সামাদ ভাইয়াকে স্বপ্নে দেখতাম।
হঠাৎ করে একদিন মাওলানা ইনামুল হাসান বিন নুর ভাইয়ের নানী মারা যায় সেখানে পোড়াবাড়ী মাদ্রাসার সামনে জানাযা হয়। সেখানে মাইক ধরে রাখার দায়িত্বটা ছিল আমার ।আমার পাশেই ইনামুল হাসান বিন নুর ভাইয়ের ফোনে কল আসল বলল”কবির ভাই আমার দেওয়া লোকেশনে আপনি চলে আসেন”
তখন আমি মনে মনে খুব খুশি হয়েছিলাম কারন আজই কি স্বপ্ন সত্যি হবে?
এভাবে আমি হ্যান্ডমাইক ধরে রেখেছি একে একে কথা বলল অবশেষে জানাযা সম্পন্ন হলো এবার সবাই কবির ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করছে আমিও ধরেছিলাম সেইদিন বুকের সাথে জড়িয়ে আমি বললাম “হুজুর আমি আপনাকে প্রতিদিন স্বপ্নে দেখি আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি হুজুর”কবির ভাইয়া দেখলাম আরো জড়িয়ে ধরলো এরপর বলল “তাই না? জিজ্ঞাসা করলো এই মাদ্রাসায় পড়ো তোমরা? বললাম জ্বী হুজুর “তারপর আরো অনেক জনের সাথে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। তার সাথে একটা ছবিও তুলেছিলাম সেটা আজও দেখি !
দোয়া করি আল্লাহ তাআলা কবির বিন সামাদ ভাইয়াকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন আমীন।

Related Articles

Back to top button