প্রবন্ধ

শিউলীর সাথে কাটানো সময় – এইচ.এম মাহমুদুল হাছান 

এইচ. এম.মাহমুদুল হাছান। সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।  শিক্ষার্থীঃ তালগাঁও আজিজিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা,

 

  শিউলী আমার ভিষন প্রিয় একটা ফুল! যেই ফুলটার সাথে আমার খুব প্রিয় মানুষগুলোর আর প্রিয় সময় গুলোর স্মৃতি জড়িয়ে আছে! তাই তো শত ব্যস্ততার ভিতরও শিউলী দেখলেই সব কাজ ভুলে হুট করে দাড়িয়ে যাই, আলতো হাতে কুড়িয়ে নেই,চোখ বুজে কিছুক্ষণ প্রাণ ভরে ঘ্রাণটা অনুভব করি।
এইতো কিছুদিন আগের কথা! পরীক্ষার রাতগুলো একটু দেরিতে ঘুমানো হয়। আবার ভোরেও খুব সকাল সকাল উঠে যায়। তাই হুজুর সেহেরির সময় হুজুরের ডাক কানে যাওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত উঠে পড়ি। বরাবরের মতো এইদিনও হুজুরের ডাকে হন্তদন্ত হয়ে দ্রুত বিছানা ত্যাগ করে ওযু করার জন্য ছুটলাম! কিন্তু ওযু করে ফেরার পথে হটাৎ মাদরাসার ভিতরের শিউলী গাছটার কাছে এসে দাড়িয়ে গেলাম, পুরো জায়গাটা ফুলে ভরে আছে,কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গেলাম আমাকে ফরজ পড়ে দ্রুত পড়তে বসতে হবে! আনমনে ফুলগুলো কুড়াতে শুরু করলাম,প্রচন্ড আনন্দ অনুভব হচ্ছিলো প্রিয় ফুলের সংস্পর্শে! দু হাত ভরে ফুল নিয়ে হাসি হাসি মুখ করে রুমে ফিরে গেলাম, এইতো এতেই বেশ তৃপ্ত আমি।
আগে শীতে যখন পিঠে পুলি খাওয়ার জন্য মাদ্রাসা বন্ধ দিতো, তখন আমার আম্মুর কাছে আমার একমাত্র বায়না থাকতো নানু বাড়ি যাবো! কারণ নানুদের বাড়িতে একটা বিশাল শিউলী গাছ ছিলো! শীতের সকালে পুরো গাছ তলা শিউলী শিউলী হয়ে থাকতো!সেই শিউলীর লোভ আমাকে স্থির থাকতে দিতো না,তাই নানু বাড়ি যাওয়ার পর নানুকে রাতে খুব করে শাশীয়ে বলে রাখতাম আমাকে যেনো খুব ভোরে ডেকে দেওয়া হয়,আমি শিউলী কুড়াতে যাবো! নানু সকালে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে উঠে পড়তাম এরপর চালন ভরে ফুল এনে রোদে বসে মালা গাঁথতাম! সেই মালা নানার গলায় নানুর খোঁপায় পরিয়ে দেওয়াতেই আমার তৃপ্তি ছিলো!

Related Articles

Back to top button