খোলা মতামত

আবেগের দাস;উনাদের দাস -ইবনু মাসউদ

 

এ লেখায় উল্লেখিত মত আমার নিজস্ব চিন্তা ধারা; যা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, বিশ্লেষণ থেকে সংগৃহীত। আমার মত বা তথ্য উপাত্তের সাথে না মিললে দু:খ প্রকাশ করছি।
মুসলিমদের মাঝে সমকামিতা ছড়িয়ে পড়ুক এটা একদল লোক খুব ভালোভাবে চায়। তাই তো প্রতিবেশী দেশ ভারতে উনারা সমকামিতা বৈধ করেছেন৷ এবার পালা আসছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশে সেই কবে থেকেই সমকামিতা প্রমোটের চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ম্যাগাজিন সহ নানা জনপ্রিয় ব্যক্তিরা ও সেই উনাদের দাস৷ তাই আমরা বর্তমান পত্র-পত্রিকা সহ নানান জায়গায় সমকামিতা সমর্থিত অনেক কিছু দেখতে পাই।
আসলে বাঙালি আবেগ প্রবণ জাতি৷ তাই তো ইতিহাসে দেখা যায়: আমরা ব্রিটিশ সহ নানান রাঘব গোয়ালদের দাসত্ব করেছি। মানি উপনিবেশ যাকে বলে। খাছ বাংলায় বলা যায়:আমার দেশে অন্য কেউ দখল করে শাসন করা ।
এ দেশ যারাই শাসন করেছে তারা প্রথমে আবেগে আঘাত হেনেছে। আমরা বাঙালিরা মহল্লা মহল্লায় এখনো এক । আর যদি হয় ধর্মগত এক, তাহলে তো কথাই নাই। তৎকালীন ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশরা আমাদের আবেগকে গুটি বানিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে।
সে আবেগটা হলো আমাদের ধর্ম৷ তৎকালীন সময়ে মুসলিমদের মাঝে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী ও আহমাদ রেজার মতো ভন্ডরা পাড়ায় পাড়ায় ঠুনকো বিষয় নিয়ে বিভক্ত করল। হিন্দুদের মাঝে ও নানা ষড়যন্ত্র করল। যার ফলে, আমরা ঠুনকো ফিরিঙ্গিদের কাছে ২০০ বছরের দাস ছিলাম। ঠুনকো বলছি কেন জানেন? এ ফিরিঙ্গিরা ভারত উপমহাদেশে আসার আগে জানত না প্রস্রাব বা পায়খানা করার জন্য পানি প্রয়োজন। এরা জানত না, প্রতিদিন গোসল প্রয়োজন। ইংরেজরা ঐতিহ্য প্রিয় বলে এখন ও ওদের বাথরুম গুলোতে পানি নাই।
আসলে বাংলার শেখ মুজিব,ভারতের মাহাত্ম্য গান্ধী, পাকিস্তানের ইয়াহইয়া খানরা থাকতে আমরা এ মাথা মোটা বুদ্দু ইংরেজদের সাথে পারি নাই। কারণ একটাই: এরা আমাদের আবেগকে গুটি বানিয়ে একতাকে বিনষ্ট করেছে।
প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম উনাদের কথা। উনারা এখন ও আবেগ নিয়ে খেলবে। তা দেখুন কিভাবে: সমকামিতা সম্পর্কিত পৃষ্ঠা ছিঁড়ার কারণে আমরা যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছি। বয়কট এর কথা অনলাইনে নয় চেতনা,কলমে, মুখে থাকতে হবে৷ সবাই তো পোস্ট করা লেখা গুলো কপি করে পোস্ট করছেন। সবাই তো নিজের মতামত ব্যক্ত করে পোস্ট করছেন না৷ সবাই পোস্ট করে তাই আপনিও পোস্ট করছেন।
বয়কটের নামে এ আবেগের খেলা সমকামিতা শব্দটিকে আরো পরিচিত করছে। এতদিন সমাকমিতার ম্যাগাজিন চলল।বক্তব্য চলল।কই আপনারা তো জ্বলে উঠলেন না৷ এখন উনারা কৌশলে আপনাদের জ্বালাইছে। তাই আমরা জ্বলে উঠছি। আমাদের জালিয়ে তুলছে কারণ : এদেশে সমকামিতা কি জিনিস কেউ জানে না।
এখন রিলস,টিকটক, ফেইসবুক, সহ সকল জায়গায় শিশু-কিশোররাও দেখবে সমকামিতা শব্দটিকে। তারপর না হয় শিখবে।
প্রতিটি জিনিসের ভালো খারাপ দিক আছে। বয়কটের ডাকের বিষয়ে আমি উপরে যা বললাম ;তা খারাপ দিক। অবশ্য আমি এটা স্বীকার করি,বয়কটের অনেক ভালো দিক ও আছে সেদিকে যাচ্ছি না ।
এখন ও সময় আছে শুধু আবেগ নয়; বাস্তববাদী হন।দেখুন উনারা কিন্তু এখানে ও আবেগে হাত দিয়েছে। শিক্ষা ও আমাদের আবেগ। আসলে উনারা আবেগ ও বুঝে বাস্তবতা ও বুঝে। তাই তো উনারা সফল হচ্ছে। আর আমরা আবার দাস হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছি।
এখন ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে, রাস্তায় স্লোগান দিয়ে,গলা ফাটাইয়া চিল্লাইয়া যেহেতু শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। তাহলে আপনার প্রতিবাদের ধরনটা পরিবর্তন করুন। আগে তো মানি ব্রিটিশ আমলে মা- চাচীরা রান্না করার আগে এক মুঠো চাল আলাদা করে রাখত। এ চাল মক্তবে তখন বেতনের ভূমিকা ছিল। এখন না হয় বাস্তবতা আলাদা রাখেন। সেই বাস্তবতা দিয়ে ইংরেজদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেভাবে বয়কট করছিলেন। যেভাবে ইংরেজীকে হারাম ফতোয়া দিয়েছিলেন।
ঠিক সেভাবেই না হয় প্রতিবাদ করুন। সকলে যার যার সন্তানকে স্কুলে না পাঠাইয়া মাদ্রাসায় পাঠান। মাদ্রাসা ভালো না লাগলে যেখানে এ বই গুলো নাই সেখানে পাঠান। তাহলেই তো চলে।
নাহ আপনি তা করবেন না। আপনি শুধু আবেগে পোস্ট করবেন,চিল্লাইবেন,জেলে যাবেন। এত আলাপের মোদ্দা কথা: আবেগ নয় বিবেক দিয়ে ভাবুন,তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
মাফ করবেন,উপরে উল্লেখিত উনারা কারা তা আমি বলতে পারব না। কেন পারব না? তা জানে আমার মৃত্যু! তা জানে সেই ৭১ এর বেয়েনেট। তবে,সেই উনাদের নিয়ে আমার ধারণা নয়৷ তথ্য যুক্তি বিশ্লেষণে আমি বলছি: উনারা।

Related Articles

Back to top button