বইমেলায় পথিক নামে ইসলামিক উপন্যাস
মাদের জীবন পথচলা পথিকের ন্যায়।
অনেকে বলে পথিকের কোনো গন্তব্য নেই, কিন্তু একজন মুসলিম পথিকের নির্দিষ্ট একটি গন্তব্য আছে। আর সে গন্তব্য হলো জান্নাত।
এই স্বার্থপর দুনিয়াতে একজন মুসলিম পথিকের পথচলা সহজ হয়ে ওঠে না। জীবনে আসে অনেক বাধা-বিপত্তি। শয়তানের ধোঁকা, নফসের খাহেশাত, পরিবেশ এবং অভ্যাসের ধোঁকা যেন চারিদিক থেকে পথিকের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখে। এ কয়টি বিষয়ের সাথে পথিকের সাক্ষাৎ হতেই থাকে। তাই তার পথচলায় সাবধানে পা ফেলতে হয়।
দ্বীনের পথে চলার ক্ষেত্রে একজন পথিকের মুরুব্বী আলেম-উলামাদের মেনে চলা জরুরি। অন্যথায় দ্বীন মনে করে বেদ্বীনী কাজে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্বীনের পথিকেরা সরল পথে হাঁটতে চায়, শান্তির পথের সন্ধানে তারা সুখী থাকে। এই সুখ শুধুমাত্র অন্য এক দ্বীনের পথিকই বুঝতে পারেন।
বইটিতে একজন দ্বীনী পথিকের পথচলায় বাধা-বিপত্তি নামের কাঁটাগুলোকে উপড়ে ফেলে সঠিক পথে চলার
সন্ধান দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
লেখক পরিচিতি
লেখকের ভূপৃষ্ঠে আগমন নব্বই-এর দশকে। গ্রাম আলগীরচর, থানা কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা ঢাকা। পিতা শহিদুল হাসান; মাতা সেলিনা বেগম। লেখকের পিতা একজন শিক্ষক এবং চিকিৎসক; মাতা গৃহিণী।
নিজের অনিচ্ছায় পড়ালেখা করেছেন BBA নিয়ে। পাট চুকিয়ে এখন শিক্ষকতা এবং লেখালিখি করছেন। যদিও শৈশব থেকেই স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় এবং সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে ছড়া, কবিতা, গল্প লিখেছেন। ছোটোবেলা থেকেই অনেক ভাবনা মাথায় ঘুরত, সেই ভাবনাগুলো সাজিয়ে ডায়ারিতে লিখে রাখা ছিল তাঁর অভ্যাস। লেখকের লেখাগুলো বন্ধু ও ভাইয়েরা পড়ত আর বলত— আরে! তুই তো অনেক বড়ো লেখক হয়ে গেলিরে!
লেখক ক্ষুদ্র জীবনে বৃহৎ কিছু হওয়ার বাসনা করেন না। ঠিকঠাক মুমিন হয়ে মরতে পারলেই যথেষ্ট। এর ফাঁকে দুনিয়ার মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারলে, রেখে যেতে পারলে, তাতেই লেখকের জীবনের সার্থকতা।
স্ত্রী, বাবা-মা, ছোটো ভাইকে নিয়ে লেখক দুনিয়ার মুসাফিরখানায় আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছেন।
‘পথিক’ তাঁর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস।