কবি পরিচিতিসাহিত্য সংবাদ

আজ শিশুসাহিত‍্যিক নিলুফার জাহানের জন্মদিন

পারভেজ হুসেন তালুকদার

আজ শিশুসাহিত‍্যিক নিলুফার জাহানের জন্মদিন। তিনি একাধারে কবি, ছড়াকার ও ছোটগল্পকার।পেশায় অপ‍্যাপিকা।

জন্ম :
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে।নানার বাড়ি মাদারিপুরে। জ
জন্ম তারিখ :২৫ ফেব্রুয়ারি ‘৬৪ ।
ছোট বেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস ।
শৈশব :
বাবা সরকারি চাকুরি করতেন বিধায় বিভিন্ন জায়গায় তার শৈশব কেটেছে। যেমন কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মাদারিপুর ,লাকসাম ।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে।মূলত মামার বাড়ি মাদারিপুরে জন্ম গ্রহণ করেন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘৬৪
ছোট বেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস।
পড়াশোনা:
কুমিল্লা বোর্ড থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি Alternative Medicine এর উপর পড়াশোনা করে ডি ,এইচ, এম, এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্ম : ‌
১৯৯৩ সালে বি,সি,এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত হন ।
১৯৯৩ সালে সাতকানিয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে প্রথম কর্ম জীবন শুরু করেন।
আট মাস পর ১৯৯৪ সালে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে বদলী হয়ে আসেন। দু বছর চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে চাকুরি করেন। ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে যোগদান করেন।
তখন অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ঘিরে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগ সারাক্ষণ মুখরিত
থাকতো। পড়াশোনা ক্লাস ইত্যাদি ছাড়াও
বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা। ওয়াল ম্যাগাজিন
তৈরি করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিতেন তিনি
তার উদ্যোগে ইংরেজি বিভাগে অনেক সেমিনার হতো
ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়ে
খুশি হতো।
২০০১ সালে সহকারি অধ্যাপক পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করতে থাকেন।
২০০৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে আবার
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজেই পদায়ন পান।
এবং মুখরিত রাখতেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।
এ সময় কলেজে একটা বিশাল অডিটরিয়াম নির্মিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সেমিনার করার জন্য। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক
আরো গভীর হয়।
২০০৯ সাল ঢাকায় আসেন পারিবারিক প্রয়োজনে
কবি নজরুল সরকারি কলেজে যোগদান করেন।
২০১৮ সালে সরকারি এক আদেশে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কবি নজরুল সরকারি কলেজেই ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্তব্যরত আছেন।
এখানেও তিনি তার ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দেন ওয়াল ম্যাগাজিন ও কবিতা, গল্প প্রবন্ধ লেখায় । আর কবিতা আবৃত্তিতে ।
সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ সব সময় ছিলো ।এখনো আছে।

লেখার শুরু;
ভার্সিটিতে পড়ার সময় তাঁর শিক্ষকগণকে সাহিত্য চর্চা করতে দেখে লেখার দিকে আকৃষ্ট হন।

ভ্রমণ :
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন
চায়না, মালয়েশিয়া সহ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন:
স্বামীও শিক্ষকতার পেশায় ছিলেন। বর্তমানে ব্যবসা করছেন ।
তাঁর দুটো ছেলে সন্তান আছে। দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।

প্রকাশনা;
বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকায় লেখা প্রবন্ধ ,গল্প ,কবিতা ছাপানো হয়।

তাঁর একক কাব্যের বই হলো “রঙিন অক্ষরে অন্কিত” ।
একক গল্প গ্রন্থ “তবুও সুখী” বেশ পরিচিত।

আর ছোটদের ছড়ার বই :
“পরীর বেশে ছড়ার দেশে”
‘প্রজাপতি মেলছে ডানা’

প্রবন্ধ: “বই মেলার ইতিহাস, “বিভিন্ন দেশে সিয়াম”। “বর্তমান বাংলা সাহিত্যে সমাজ সচেতনতা” ।

এছাড়া বেশ কিছু যৌথ কাব্য আছে । যেমন;
“অনিরুদ্ধ ফোয়ারা”, “প্রিয় বাংলা”, “ছোটদের মিষ্টি ছড়া”, “অনির্বাণ” অবনীর শেষ শব্দ, “ঝরা পাতার গুঞ্জন।’
‘নীল জোছনা” “ভালোবাসার এপিঠ ওপিঠ।” নীল চাঁদের আলো।” “কৃষি ও কৃষক””মেঘ বালিকার কাব্য কথা” “রূপোলি আলোর মিছিল” উল্লেখ্য।

লেখার বিষয় বস্তু;

মানুষের চিরন্তন ভালো লাগার অনুভূতি আর সমসাময়িক বিষয় গুলো ও ইসলামী সাহিত্য তাঁর লেখার উপজীব্য।
এছাড়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন।
যেমন: সবুজ চা পানের উপকারিতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button