রাসুলের সাহাবী

হুসাইন রাদিআল্লাহু একজন কবি ছিলেন

হযরত হুসাইন (রা.) অনেক গল্প শুনেছি এই প্রিয় সাহাবার। তিনি নবিজীর নয়নমণি ছিলেন। শুধু কি এতটুকু?  যেসব সাহাবী শাহিদ হওয়ায় গোটা মুসলিম জাহান আজও কাঁদে তাদের তালিকায় নাম লিখেছেন হুসাইন রাদিআল্লাহু। তিনি শুধু একজন সাহাবী, কি’বা শহীদ নয়। তিনি একজন খ্যাতিমান কবি ছিলেন। চমৎকার সব কাব্য-চয়ণ রয়েছে তাঁর। তার একটি কবিতা…

 إغف من المخلوق بالخالق * تقى عن الكاذب والصادق واسترزق الرحمن من فضله * فليس غير الله من زازق * فليس بالرحمن بالوائق من ظن أن الناس :

সৃষ্টি জীব থেকে বিমুখ করে স্রষ্টার প্রতি মানুষকে মুখাপেক্ষী কর। তাহলে তুমি সত্যবাদী মিথ্যাবাদী সবার থেকে মুক্ত থাকবে। এমনটা করতে পারলে রহমান তাঁর করুণা দ্বারা তোমাকে রুজি দান করবেন। গায়রুল্লাহর থেকে সেমতাবস্থায় তোমাকে রুজি তালাশ করতে হবে না।

মুক্তকথন থেকে আরো পড়ো

 

তিনি যখন তখন কবিতা চর্চা করতে পারতেন। স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল তাঁর কবিত্বের বৈশিষ্ট্য। সাহিত্য-সংস্কৃতি যেন আল্লাহ তাঁর মন-মগজে অকৃপণ হাতে ঢেলে দিয়েছিলেন। গভীর তাঁর অনুসন্ধিৎসা, অনন্য তাঁর কাব্য পরিক্রমা, দুর্জয় তাঁর ছন্দ, পদ্য ও গদ্য। এক লোক তাঁর কাছে এসে কিছু চাইল। তিনি আবৃত্তি করলেন

لم يبق عندى مايباع ويشترى * يكفيك ظاهر منظرى عن مخبری عن أن يباع ونعم أنت المشترى ** مته إلا بقية ماء وجه «

কিছু নেই যা বেচা-বিক্রি করে তোমাকে দিব; আমার বাহ্যিক অভ্যন্তরীণ অবস্থা দেখে তা আঁচ করতেই পারছো। মুখ ধোয়ার সামান্য পানি আছে; যদি তা বিক্রি করা যায় (তাহলে তা পেতে পার); যদিও কিনতে হবে তোমাকেই।

ঘুষ বানিজ্য

 কিছু নেই জেনেও এরপর হযরত হুসাইন (রা.) পকেটে হাত ঢুকালেন। সামান্য কিছু বেরিয়ে এল। তাই-ই আগন্তুকের হাতে তুলে দিলেন। দিয়ে তৎক্ষণাৎ আবার আবৃত্তি করলেন—

عاجلتنا فأتك عاجل يرنا * لذرا ولو أمهلتنا هم تغير فخذ القليل وكن كأنك لم تكن * بعت المصون والا لم تشتر

তুমি তাড়াহুড়া করেছো, আমার কাছে একজন তাড়াহুড়াকারী এসেছে আমাদের নেককাজের মানতসহ। যদি সুযোগ দিতে ভালো কিছু পেতে পারতে। সামান্যই নাও। তুমি এমন হও যেন নিঃস্ব, তোমার আত্মসম্মান বিকালেও আমরা খরিদ করবো না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button