ত্রান যখন মেম্বারের ঘরে
গরীব তখন নেশার ঘোরে।
শিক্ষক শিক্ষা বিক্রি করে
শিক্ষার্থী এখন ভবঘুরে।
পরীক্ষার হল তাবিজের আস্তানা
পরীক্ষক পাহারা দেয় ত্রি-সীমানা।
শিক্ষা কেন্দ্র যেন পরিনত ব্যবসায়!
অভিভাবকও যেন উচ্চতরও শিক্ষা চায়।
কেন যে বদলে গেলো?
পুরনো স্বভাবগুলো নিমিষেই উবে গেলো।
হুজুর ধর্ম নিয়ে করে চিৎকার
বাস্তবতার আড়ালে তিনিই নির্বিকার!
তারা নাকি দেশপ্রেমে ছিল আসক্ত।
তাদের খবরে পত্রিকা হয় সিক্ত!
চেয়ারম্যান বলে করে দিবে সব
জয় শেষে চেয়ারম্যান আজব!
দল নিয়ে ব্যস্ত সবে,
ক্ষমতাসীন দলে থাকবো তবে।
ফোন- এখন কিশোরের হাতে
মা- বাবা ঘুরে খালি হাতে।
যে ফোন ছিল কথা বলার যন্ত্র।
সে ফোন নাকি শিক্ষার মন্ত্র!
কেন যে বদলে গেলো?
পুরনো স্বভাবগুলো নিমিষেই উবে গেলো।
মেয়ের জ্বালায় ছেলে অসহ্য!
বাবার জ্বালায় ছেলে বাবাকে করে তেজ্য!
মায়ের জ্বালায় মেয়ে মাকে করে অগ্রাহ্য!
ভাইয়ের খুনি ভাই
স্বামীর খুনি স্ত্রী!
কেন যে বদলে গেলো?
পুরনো স্বভাবগুলো নিমিষেই উবে গেলো।
ছাত্রী-শিক্ষক প্রনয় সম্পর্ক!
ছাত্র- শিক্ষিকার প্রেমের গল্প!
থানা এখন দূর্নীতির স্থান।
ইউনিয়নে হয় চুরের দান।
অকালপক্ব ছেলেটাও এখন নেতা!
বয়োবৃদ্ধ সবে যেন ভয়ে তেষ্টা।
যুগের বদলে কবিতা বদলে গেলো।
রাস্তার ভিখারিও কবিতা লিখে!
আর কিশোর যেন কবিতা শিখে!
কবিতার ছন্দ পতনে দূষিত সাহিত্য!
কবির বৃদ্ধি যেন বাড়ছে ক্রমশ নিত্য!
বদলে যাওয়ার অশেষ গল্প
লিখতে গেলে।
আমার কলমের কালি
যাবে চলে।
বদলে গিয়ে কলমের দাম বেড়েছে।
আর এখন কলমের কালি শেষ হয়েছে।