সাহিত্য সংবাদ
Trending

অমর একুশে বইমেলায় লেখক সন্ধ্যার আয়োজন করলো বইঝুড়ি ডটকম

সাহিত্য

লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোর লক্ষ্যে ১১ মার্চ বইঝুড়ি অমর একুশে বইমেলায় লেখক সন্ধ্যার আয়োজন করে।

বইমেলা শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা। এই মেলাটি বইপ্রেমী মানুষদের মেলবন্ধনের জন্য এক অনন্য আয়োজন। জানা যায়, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের সামনে বটতলায় শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার শুরু করেন। যে বইগুলো ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমানে মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শরণার্থীদের লেখা বই। নানা ধাপ পার হয়ে ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এরপর বেড়েছে মেলার পরিধি ও পাঠকসংখ্যা এবং ২০১৪ সালে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’য় স্টলের সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থানান্তরিত করে। বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আসর, লেখক আড্ডাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অমর একুশে বইমেলায় সন্ধ্যার আয়োজনগুলো বরাবরই পাঠক ও লেখকদের মধ্যে মনোমুগ্ধতা ছড়ায়। গত ১১ জানুয়ারি বইঝুড়ি আয়োজন করে লেখক সন্ধ্যা নামক একটি অনুষ্ঠানের। যেখানে সম্মিলন ঘটে লেখক, প্রকাশক, পাঠকসহ বইয়ের জগতের মানুষদের। লেখালেখি, আগামীতে বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রা, অমর একুশে বইমেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখক সন্ধ্যায় আলাপ হওয়ার পাশাপাশি বইঝুড়ি ডটকম এর ওয়েবসাইট উদ্ভোধন করা হয়৷ লেখক সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাঠকপ্রিয় লেখক কিঙ্কর আহ্‌সান, মুহাম্মাদ ইব্রাহীম (কবি সাহেব), রফিকুল ইসলাম প্রিন্স, মোহাম্মদ অংকন প্রমুখ। এছাড়াও প্রকাশকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসি তরফদার (জ্ঞানকোষ প্রকাশনী), সালমান ফারসি (পুস্তক প্রকাশন), আশিক সারওয়ার (পেপা ভয়েজার) সহ আরও অনেকেই।
উল্লেখ্য, বইঝুড়ি ডটকম একটি অনলাইন বুকশপ যারা বাংলা সাহিত্যের বইসমূহ পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। অফিস, ক্লাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনের কিছুটা সময় কাটানো হয় প্রতিটি মানুষের। অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অনলাইনকেন্দ্রিক যেমন বাজার গড়ে উঠেছে, গত কয়েক বছর ধরে বই নিয়েও বইঝুড়ির মতো বেশ কিছু উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সময়ের অভাবে পাঠকদের খুব একটা বইপাড়া বলে খ্যাত স্থানগুলোতে যাওয়া হয়না। তবে অনলাইন বুকশপ থাকতে এ ব্যাপারে কোনো চিন্তা করতে হয়না। ঘরে বসেই প্রিয় সব বই এখন অল্প সময়ে পাওয়া যায়। লেখক সন্ধ্যা ও বইঝুড়ি ডটকম নিয়ে কথা বলেছেন বইঝুড়ির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নাঈম হাসান। তিনি বলেন, বই হলো মনের জানালা। এ জানালা দিয়ে মানুষ জ্ঞানের রাজ্যে ভ্রমণ করে। যে সমাজে বই এর প্রসার যত বেশি, মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ যত বেশি সে সমাজ তত বেশি আলোকিত। সুতরাং আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে আমাদেরকে বই এর প্রসার ঘটাতে হবে। প্রতিযোগিতা নয় বরং সহযোগিতাই হতে পারে আমাদের বই এর সমাজ গড়ার হাতিয়ার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button