কবিতা

রক্তে ভেজা সিঁড়ি

রক্তে ভেজা সিঁড়ি
জসিমউদ্দিন তন্ময়

ঘাতকদের কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছিলে তুমি স্বাধীনতা
বাঙালির সুখে দুঃখে থাকার জন্য সহে নিতে হাজারো ব্যথা।
এই মাটি হবে সোনার চেয়ে খাটি ;এই মাটি হবে পরিপাটি,
কোথা কি লাগিবে তাই খুঁজিতেন খুটিনাটি।

অগোছালো দেশকে সাজিয়ে তুলতে হাতে কত প্রত্যয়,
শুরু করেছিলেন কার্য সফলতা হবে নিশ্চয়ই।
এই সফলতার যন্ত্রণা সহ্য ছিলোনা কিছু নরপিশাচদের বুকে,
গোপনে হতো ষড়যন্ত্র, চুখের দেখায় আলেম সাজে।

সেইদিন পনেরো আগষ্ট ভোর হয়নি তখনি,
আজানের ধ্বনির আগেই যেনো চারদিকে প্রতিধ্বনি।
কি হচ্ছে!কি হচ্ছে!! এদিক সেদিক সবার ছুটাছুটি,
পুরো শহরের বাসিন্দা নিস্তব্ধতায় ভাবছে কে ছুড়তেছে গুলি।

একদল হায়েনা ছুটে আসে বত্রিশ নম্বরে,
গুলি ছুঁড়ে ছুঁড়ে ভিতরে প্রবেশ ধীরে ধীরে।
বিকট শব্দ শুনে বঙ্গবন্ধু ফোনের চেষ্টা করে,
শেখ কামাল ঘুম ঘুম চুখে নিচে আসলে গুলি দেয় ছুড়ে।

সাদা পাঞ্জাবি পড়নে বঙ্গবন্ধু দাড়ায় দ্বি- তলার সিঁড়িতে,
কি হলো গুলি ছুড়াছুঁড়ি কেন?কি সমস্যা? পারিনায় বুঝিতে।
সেই প্রশ্নের জবাব দেয় এক বেঈমান সেনার গুলিতে,
বুলেটের আঘাতে জাতির স্বপ্ন পড়ে যায় সিঁড়িতে।

একের পর এক বুলেটে বয়ে আনে রক্তের বন্যা,
রক্তে ভেজা সিঁড়িগুলোই যেনো শুরু করলো রক্তের কান্না।
সেই রক্তের দাগ এখনো মুছেনায়,
জাতির হৃদয়ে জাগ্রত পাহারসম ব্যথায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button