চিত্তরঞ্জন সাহা চিতুর তিনটি ছড়া।
হিমালয় দেখেছো?
এই বাঙালির মহাহিমালয়
তোমরা দেখেছো কেউ,
তার ঈশারায় রাজপথ জুড়ে
উঠতো প্রবল ঢেউ।
নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে
তাইতো দিলো ডাক,
এদেশ থেকে পশ্চিমেরা
এবার নিপাত যাক।
বীর বাঙালি অস্ত্র ধরে
জীবন বাজি রেখে,
শত্রুরা সব পরাজিত হয়
এদের সাহস দেখে।
মাথা নত করে শত্রুরা সব
নয় মাসে হয় শেষ,
নেতার স্বপ্ন সফল হলো
আমরা পেলাম দেশ।
সেই হিমালয় বঙ্গবন্ধু
মুজিবুর রহমান,
তুমিতো আছো বাঙালির বুকে
তুমি রবে অম্লান।
রক্ত ঝরেছে সেদিন
পঁচাত্তরের সেই যে রাতে
রক্ত ঝরেছে কার,
শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু
দৃপ্ত কন্ঠ যার।
রক্ত মাখা সেই সিঁড়িগুলি
আজও সাক্ষী দেয়,
দুঃখটা শুধু বুকের মাঝে
স্মৃতিগুলো ভাসলেই।
ওরা চেয়ে ছিল সব মুছে দেবে
তাই কি কখন হয়,
বঙ্গবন্ধু চির অম্লান
বিশ্বের বিস্ময়।
রেহাই পাই নি সেই খুনিরা
বিচারে হয়েছে ফাঁসি,
কলংকমুক্ত এই বাঙালি
প্রিয় দেশবাসি।
মুজিব তোমার জন্যে
তোমার কথা লিখতে গেলে
কষ্ট লাগে বুকে,
হারিয়ে ফেলি মুখের ভাষা
আর আসে না মুখে।
তোমার ছবি আঁকতে গেলে
হারিয়ে ফেলি খেই,
চক্ষু দিয়ে অশ্রু ঝরে
ছবি তাে ভাসলেই।
তোমার জীবন ভাবতে গেলে
কেমন জানি হয়
কালো রাতের দৃশ্যগুলো
জাগায় মনে ভয়।
কেবল ভাবি কেমন করে
করলো ওরা গুলি,
রক্ত ভেঁজা সিঁড়িগুলি
আমরা কি আর ভুলি।
ধানমন্ডির সেই যে বাড়ি
দাড়িয়ে আছে ঠাই,
তোমার জন্য বুকের মাঝে
কষ্ট আজও পাই।