সাধ্বী দেহী
স্বদেশ তালুকদার
অহর্নিশের দিবসও চলে গেছে,
চলে গেছে বসন্ত আজি,
চলন্ত অনিবার।
রজনীর হয়তো শুরু,না হবে জানিনা
ক্ষণটা দিবস-রজনীর সন্ধিক্ষণের মতো,
তবে কোনো ক্ষণ প্রভা নেই,
আঁধারের ছায়া নিঠুরে পাণি দ্বারা
তাড়নীর তাড়নে
আপন প্রজ্বলন-নিয়ে যায়
ক্রোড়ে করে তপনে।
হায়! এরপরও অম্বরে
কালো কালো নহে সোনালী সোনালী মেঘে
রূপালী রূপালী হস্তে: উন্নত করে
আহুতি করে কারে?
জানি আমি আজি কফি চিহ্নে’র মতো
রঞ্জিত শাড়িপড়া,
বিষবৃক্ষের পরশে হররোজ হাটুরে
কোনো গণিকারে নহে।
বারাঙ্গনা’র মতো দেহগড়া হায়! এরপরও অম্বরে
কালো কালো নহে সোনালী সোনালী মেঘে
রূপালী রূপালী হস্তে। উন্নত করে
আহুতি করে কারে?
জানি আমি আজি তপনের দীপ হারি
মরা মরা ঘাসের মতো রঞ্জিত নহে;মরিত
সোনালী সোনালী মেঘে আবৃত চক্ষে
চৌপথে দাঁড়ায়ে যে মানবী
আমারে খুঁজে
সে নীলাভ নিরবদ্য সাধ্বী দেহী
অবগুন্ঠনে গুষ্ঠিত।