মোবাইল ফোন এই শব্দটির সাথে কে না পরিচিত? ছোট-বড় ধনী-গরিব সাদা-কালো দেশি-বিদেশি সকলেই এই শব্দটির সাথে পরিচিত। শুধুই কি পরিচিত? না-কি সবাই এটা ওপরই নির্ভর! বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া এক ঘন্টাও কাটানো অসম্ভব। মোবাইল ফোন ব্যতিত আমারা সকলেই যেন অচল। এই মোবাইল ফোন জড়িয়ে আছে আমাদের জীবন, সমাজ,ব্যবসা, চিকিৎসা, চাকরি, খেলাধুলা, বিনোদন ও পরিবারের সাথে।
কিন্তু যদি শুনতে হয় এই মোবাইল ফোন আর ব্যবহার হবে না। এই কথাটি তো কেউই বিশ্বাস করবে না। তবে এমনই এক অবিশ্বাস্য তথ্য দিয়েছেন আমাদের সকলের পরিচিত মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, এই দশকের শেষের দিকে, স্মার্টফোনের জায়গায় আসবে ইলেক্ট্রনিক ট্যাটু। এই ট্যাটুতে একটি হাই-টেক চিপ ঢোকানো হবে শরীরের মধ্যে, যার দ্বারা আমরা স্মার্টফোনের সমস্ত কাজগুলি নিয়ন্ত্রন করতে পারব। যদিও এই প্রযুক্তি কবে আনা হবে, কীভাবে এর প্রয়োগ করা হবে, বা টেক-চিপ ঢোকানোর মাধ্যমে মানুষের শরীরে কোন ক্ষতি হবে কিনা, অর্থাৎ এর প্র্যাক্টিক্যালিটি কতটা, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।
অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের গবেষকদের নেতৃত্বে একটি দল একটি অতি থিন, লাইটওয়েট ইলেকট্রনিক ট্যাটু বা ই-ট্যাটু তৈরি করেছে, যা ক্লিনিকাল সেটিং এর বাইরে ক্রমাগত, মোবাইল হার্ট পর্যবেক্ষণের জন্য বুকের সাথে সংযুক্ত করে। এটিতে দুটি সেন্সর রয়েছে যা একসাথে হৃদরোগের একটি পরিষ্কার ছবি দেয়, যা চিকিৎসক হৃদরোগের জন্য লাল পতাকা ধরার একটি ভাল সুযোগ দেয়।”বেশিরভাগ হার্টের অবস্থা খুব স্পষ্ট নয়।
গবেষকরা ইতিমধ্যে তাদের প্রতিদিনের পরিবেশে পাঁচটি সুস্থ রোগীর উপর ডিভাইসটি পরীক্ষা করেছেন, বর্তমানে উপলব্ধ পর্যবেক্ষণ বিকল্পগুলির তুলনায় পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি কম ত্রুটির হার রয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও পরীক্ষা করা এবং প্রাথমিক ফলাফল যাচাই করা এবং বিভিন্ন ধরনের রোগীদের কাছে প্রসারিত করা জড়িত।