কবিতাকবিতার ঝুড়ি
নারী পাচার – সৌরভ আহমেদ শ্রাবণ
নারী শিশু পাচার করছো কোন সংবিধানে,
ধর্মে কর্মে কেমন সে মানুষ, প্রশ্ন জাগে মনে।
ধরায় আলো দেখিয়েছে সেও ছিলেন নারী,
বাঁচিয়ে রাখার জন্য তোমায় করে আহাজারি।
প্রথম যেদিন শিখে ছিলে মায়ের মুখের বুলি,
সেদিন ছিলে মায়ের হাতে গোলাপেরও কলি।
পাখির মতন পোষে ছিলেন খুবই যতন করে,
দুধ না দিয়ে পানি দিলেই যেতেই তুমি মরে।
গরম কালে হাতপাখা আর শীতকালে কাঁথা,
বর্ষাকালে ঝড় বাদলে ছিলেন মাথার ছাতা ।
যাকে তুমি করছো পাচার সেও মায়ের জাতি,
অন্ধকারে সেজন তোমার ঘরে জ্বালায় বাতি।
ওরা মানুষ নাকি পশু? কোন কাতারের লোক,
নারী শিশু পাচার করে আজ চায় বাঁচার সুখ।
হোক না সে বোন, ভিন্ন ধর্মের,মা একই জননী,
কেমন করে পণ্য করো সেই আপনজন সজনী।
ভোগে সুখে কুকুরও বাঁচে এ ধরাতে দেখনি তা!
তাই বলে কি কুকুর কভু, হয়েছে কি সম্মানিতা?
মানব পাচার যারাই করে কুকুরের চেয়ে জঘন্য;
সমাজ ধর্ম জাতির কাছে তারাতো চির নগণ্য।
পশুত যার কাজে-কর্মে আইনের হাতে দে তুলে,
মা জাতিকে রক্ষা করতে এসো তরু দলে-দলে।