কবিতার ঝুড়িছড়া

জাত বিচারের অশ্রু / সেখ মুজিবর রহমান

 

হিন্দু মরলে,হিন্দু কাঁদে,
মুসলিম কাঁদে তার বেলায়।
মানুষ মরলে কাঁদবি কবে?
তবে কি,কাঁদতেও ধর্ম পরিচয়?
রক্তের যদি জাত না থাকে,
চোখের জলের জাত কেন?
পেটের ক্ষুধা কোন সে জাতের
কেমনে কঁদায় দেশ হেন?
রহিঙ্গারা মরলো বলে,
লাগছে বুকে লাগে ব্যথা খুব।
পরেশ,পবনরা বাংলাদেশের,
তাই কাঁদেনা আমার বুক।
বিস্ফোরণে মসজিদ কাঁপে,
রক্তে রাঙ্গায় চার দেওয়াল।
কাঁদেনিতো বক্ষ তোমার,
হওনি কেন বে- মিশাল?
ইরাক কাঁদে, আফগান কাঁদে,
কাঁদছে দেখ ফিলিস্থিন।
আমার দেশেও কাশ্মীর কাঁদে,
কাঁদছে দেখ শিয়াচীন।
যারা মরছে সবাই মানুষ,
সবার জন্য এই ধরা।
ক্ষুধার জ্বলায় আফ্রিকাতে
কঙ্গো, টোগো, হয় সারা।
তাদের জন্য মন কাঁদেনা?
হেথায় কেন জাত বিচার!
স্বভাব গুনে চোখ বুজে রই
সয়ে চলি অবিচার।
এমন ইতর শ্রেণীর জালীম এরা,
ধর্ষণ করে জাত দেখে।
ছোট জাতের বালাই দিয়ে,
রাতে জ্বালায় লাশটিকে।
মানুষ মরলে কাঁদবে মানুষ,
সেটাই হওয়া সমিচীন।
একের মৃত্যু, অপরের হাসি,
হাসবে শুধু যারা অর্বাচীন।
যে যাই বলুক, দেখতে শুধু–
মানুষ হলে চলবে কি?
মনুষ হয়ে বাঁচতে এসে
অমানুষ হওয়া সাজবে কি!

রায়গঞ্জ, দিনাজপুর

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button